দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে পূজাদেবীর সঙ্গে হিমাদ্রি শিকদার নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই থাকত। বেশ কয়েক মাস আগে পূজাদেবী খড়দহে বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন। সেখানেই থাকছিলেন। এদিন কর্মসূত্রে বাবা, মা বাইরে ছিলেন। পূজাদেবী বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সুযোগে এদিন দুপুরে হিমাদ্রি শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তা চলার সময়ে আচমকাই ধারালো অস্ত্র বের করে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। মুখে, পেটে, গলায় কোপ মারেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে বাইরে বেরিয়ে এসে সাহায্যের জন্য চিত্কার করতে থাকেন পূজা। ততক্ষণে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত স্বামী বাড়ির পিছনের দিকে দিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। জখম বধূ বলেন, বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ওঁকে চলে যেতে বলেছিলাম। ওঁকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টাও করি। কিন্তু আচমকা ও ধারালো অস্ত্র বের করে আমাকে কোপাতে থাকে। বাধ্য হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমি বাইরে বেরিয়ে আসি। প্রত্যক্ষদর্শী সুনীল দাস বলেন, আমরা ওই বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিলাম। পূজা রক্তাক্ত অবস্থায় বাইরে আসতেই আমরা ছুটে যাই। ততক্ষণে ওঁর স্বামী পালিয়ে গিয়েছেন। পূজাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি। ভরদুপুরে পাড়ার মধ্যে এমন হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত।