দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেইমতো ধীরে ধীরে ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট সম্মেলন করছে রাজ্যের শাসকদল। রক্তদান শিবির, আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংযোগ বজায় রাখছে। অন্যদিকে, সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি তৃণমূলের বিভিন্ন ইস্যুকে ঢাল করছে। মরিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর। এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্ম শিবিরের। কিন্তু, তার থেকেও বড় সমস্যা হল দলের ভাঙন আটকানো। যা সামলাতে গিয়ে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে দলের নেতৃত্বকে। রাজ্য নেতৃত্ব তো ভাঙছেই।
২০১৮ সালের যে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিজেপির উত্থান, সেখানেই এখন ফেরার পালা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার তৎকালীন ১৮৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছিল ১৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। গেরুয়ার শিবিরের দখলে যায় ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু, তারপর থেকেই উল্টে যায় হিসেব নিকেশ। শুধু নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলাতেই প্রায় একশো জন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে শাসক দলের দাবি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকশিপাড়া ব্লকে ১৫জন, করিমপুর-১ ব্লকে ২০জন, চাপড়া ব্লকে চারজন কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে ৩২জন, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে তিনজন ও কালীগঞ্জ ব্লকে সাতজন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য নাম লিখিয়েছেন শাসকদলে। এই পরিস্থিতিতে নদীয়া উত্তরের জেলা সভাপতি বদলের একাধিকবার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই। কয়েকদিন আগে বিজেপির জেলার ১০জন নেতৃত্ব নিজেদের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছিল। পুরসভা ভোটের সময় টাকা নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগও উঠেছিল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জেলা সভাপতির উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। তারপর ফের সোমবার রাতে পার্টি অফিসে জেলা সভাপতিকে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। করা হয় কুমন্তব্যও। নদীয়া জেলা বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার বলেন, পুরো ঘটনাটাই ঘটছে রাতের অন্ধকারে। দিনে কিছুই হচ্ছে না। কারণ, তাদের সৎ সাহস নেই। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। আমরা পুলিসকেও জানিয়েছে ব্যপারটা। তারা পদক্ষেপ নেবে।
তৃণমূলের নদীয়া জেলার উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এই ধরনের নীতিতে তৃণমূল বিশ্বাসী নয়। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শ সেই কথা বলে না। রাজ্য থেকে বিজেপি দিন দিন মুছে যাচ্ছে। কারণ, মানুষ কেন্দ্র সরকারের দ্বিচারিতা বুঝে গিয়েছে। তাই দলের নেতা থেকে সাধারণ মানুষ আর বিজেপিতে থাকতে চাইছে না।