সংবাদদাতা, পতিরাম: সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের সামনে রাস্তায় জল জমে থাকছে। এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা না থাকাতেই এমন সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে জমা নোংরা জল থেকে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়ছে। হাসপাতালের ভবনে জরুরি বিভাগে ঢুকতেই নোংরা জল মাড়াতে হচ্ছে। এ নিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের ওই জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বালুরঘাট পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো, রাস্তা সংস্কার, সুষ্ঠু পানীয় জল সরবরাহ সহ বিভিন্ন দাবি জানিয়ে সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে চিঠি দেয়।  
বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, বৃষ্টি হলেই জরুরি বিভাগের সামনে জল জমছে। পূর্তদপ্তরকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। আসলে ওই রাস্তায় নিকাশি নালার প্রয়োজন। তাই বালুরঘাট পুরসভাকে নালা সহ আলো, রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, পুর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পদক্ষেপ করবে। 
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, সম্প্রতি পুর চেয়ারম্যানের সঙ্গে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাস্তা, আলো, জল জমার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওসব সমস্যা সমাধান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব দ্রুত ওসব কাজে পুরসভা হাত দেবে। 
বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় মানিক সাহা বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে জরুরি বিভাগের সামনে হাঁটুজল জমে যায়। ওই এলাকায় সারাক্ষণই জল জমে থাকে। ফলে খুব সমস্যা হয়। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর সময়ে নোংরা জলেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। 
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরনো ভবনের সামনে ওই রাস্তায় নিকাশি নালা নেই। যার ফলে ওই নিচু জায়গাতে জল জমে থাকে। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার হয়ে থাকে। ফলে রোগীর পরিজনদের চলাচল করতেও সমস্যা হয়। উঁচু বাতিস্তম্ভে আলোর ব্যবস্থা করার আর্জি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরসভার কাছে রেখেছে। 
জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনে জরুরি বিভাগটি রয়েছে। এছাড়াও আছে মেল ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ড। ওই ভবনেই সিসিইউ করা হয়েছে। 
কাজেই পুরনো ভবনে প্রচুর রোগী এবং তাঁদের পরিজনরা আসেন। গত ক’দিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতেই জরুরি বিভাগের সামনে জল জমেছে। বর্ষায় যে দুর্ভোগ আরও বাড়বে তা মানছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তাই এ ব্যাপারে তারা বালুরঘাট পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।