দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা কানাই পোদ্দার তাঁর কলা বাগান পরিষ্কারের জন্য এদিন সকালে বাগানে যায়। সে সময় তিনি দেখতে পান মুখ খোলা অবস্থায় একটি বস্তা পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়েই তাঁর চোখে পড়ে বস্তার মুখ খোলা এবং পাশেই পড়ে রয়েছে একটি বোমা। এরপরই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। চলে আসে মালদহের বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরাও। এলাকাটি তাঁরা ঘিরে দেন। পরে বস্তার ভিতর থেকে আরও ছয়টি কৌটা বোমা উদ্ধার করে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। বোমাগুলিকে ঘটনাস্থলে ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এদিকে, এদিন বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মহানন্দপুর এলাকার পাশেই রয়েছে বিহার। অভিযোগ, ওই এলাকার দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় কোনও অপরাধ ঘটাতে ওই বোমা মজুত করে থাকতে পারে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছে চাঁচল থানার পুলিস। স্বরূপগঞ্জ এলাকায় নিয়মিত চাঁচল থানার পুলিসের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।
জেলা বিজেপির উত্তর মালদহের সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, আমরা প্রথম থেকে দাবি করেছি গোটা মালদহ বোমা বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। হয়তো এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে কালিয়াচক, চাঁচল সহ জেলার একাধিক ব্লকে বোমা মজুত করা হচ্ছে। আর সেইগুলি গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দিচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন এখন থেকে সঠিক তদন্ত করুক।
জেলা তূণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, বোমা উদ্ধার করছে পুলিস। সেক্ষেত্রে পুলিস ভালো কাজ করছে। বিজেপি ভালো কাজ চোখে দেখতে পাচ্ছে না। যদি কেউ অন্যায় করে, আইন আছে পুলিস প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, পুলিস সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।