দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
মে মাসের ১৪ তারিখ হাওড়ার ডোমজুড়ে খুন হন তাপস দলুই। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ও অন্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিস জানতে পারে ঘটনায় জড়িত রয়েছে তার শাগরেদ প্রভাত। হাওড়ার বাকসাড়ার প্রভাতের বাড়িতে পুলিস হানাও দেয়। কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল বন্ধ থাকায় তার লোকশেন পাওয়া পায়নি হাওড়ার পুলিস।
এর মাঝে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা জানতে পারেন, প্রভাত নামে এক ব্যক্তি কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা করতে আসছে। মূলত বন্দর এলাকায় তার যাতায়াত। এখানেই বেআইনি অস্ত্রের ডিল হচ্ছে। তার গতিবিধি জানার চেষ্টা হয়। সোর্স লাগিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সোমবার সে অস্ত্র বিক্রি করতে আসবে ওয়াটগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ এলাকায়। সেইমতো সেখানে পৌঁছে যায় গোয়েন্দা বিভাগের টিম। সাদা পোশাকে পুলিস কর্মীরা এলাকায় নজর রাখছিলেন। হঠাৎ তাঁরা খেয়াল করেন এক যুবক ওই এলাকায় ঢুকছে। সোর্স জানিয়ে দেয়, এই ব্যক্তিই হল প্রভাত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। এরপরই গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। তাকে জেরা করে জানা যায় মেটিয়াবুরুজে ডেরা রয়েছে। সেখানে হানা দিয়ে আরও গোটা তিনেক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মেলে।
ধৃতকে লাগাতার জেরা করে গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে। জানা যায়, ১৪ তারিখ তাপস দলুইকে খুনের পর গঙ্গা পেরিয়ে বিচালিঘাটে আসে প্রভাত। সেখান থেকে মেটিয়াবুরুজে এক পরিচিতের বাড়িতে এসে ওঠে। তাদের জানায় কলকাতায় একটি কাজ রয়েছে। কয়েকদিন কাটিয়ে চলে যাবে হাওড়ার বাড়িতে। এর আগেও একাধিকবার সেখানে থেকে যাওয়ায় তাকে সন্দেহ করেননি কেউ। প্রভাত যে খুনের ঘটনায় জড়িত তা তাঁরা জানতেন না। সেখানে দু-তিনদিন কাটিয়ে গার্ডেনরিচে অন্য এক পরিচিতের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। অন্যের ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ রাখছিল বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে। পালিয়ে থাকার সময়েও সে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার কারবার চালাচ্ছিল সেখানে বসেই।