দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
উদয়পুরে সদ্য অনুষ্ঠিত ‘নব সংকল্প চিন্তন শিবিরে’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই নতুন কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া। আটজনের এই কমিটিতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, গুলাম নবি আজাদ, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিং, আনন্দ শর্মা, কে সি বেণুগোপাল এবং জিতেন্দর সিং। অর্থাৎ সেই পুরনো নেতানেত্রী। অথচ উদয়পুরে ঠিক হয়েছে, তরুণদেরও জায়গা দেওয়া হবে।
একইভাবে ২০২৪ সালে মোদিকে হারানোর স্ট্র্যাটেজি তৈরির দায়িত্ব রাখা হল পি চিদম্বরমকে। সেখানে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আটজনের এই কমিটিতে (টাস্ক ফোর্স-২০২৪) চমক দিয়েছেন সোনিয়া। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগদানে ব্যর্থ হলেও তাঁরই একসময়ের সহযোগী তথা ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে জেতানোর অন্যতম নেপথ্য কারিগর সুনীল কানুগোলুকে এই কমিটিতে এনেছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার প্রচার পরিকল্পনাতেও ছিলেন কানুগোলু।
উল্লেখযোগ্য দুই কমিটির কোনওটিতেই কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বা বাংলার কাউকে রাখা হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধীরবাবু বলেন, কোনও ক্ষোভ নেই। সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্তই শিরোধার্য। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে পালন করছি।
তবে ঘটা করে কমিটি গড়লেও কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড় করানো যে কঠিন, তা মেনে নিয়েছেন এআইসিসির মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। ‘টাস্ক ফোর্স-২০২৪’ কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সুরজেওয়ালা বলেন, তৃণমূলস্তরে পৌঁছে মানুষকে কংগ্রেসমুখী করার যে সিদ্ধান্ত উদয়পুরে হয়েছে, তা বাস্তবায়িত করা চ্যালেঞ্জ। তাই এখন থেকে সপ্তাহে দু’দিন টাস্ক ফোর্স বৈঠকে বসবে। সাধারণ মানুষের ইস্যুকে সামনে রেখে কীভাবে দলকে চাঙ্গা করা যায়, তারই স্ট্র্যাটেজি তৈরি হবে। -ফাইল চিত্র