দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে বিজয়ের বিরুদ্ধে? গোটা বিষয়টি খোলসা করেছেন ভগবন্ত নিজেই। তাঁর কথায়, ‘সরকারের এক মন্ত্রী টেন্ডার ও দপ্তরের জিনিসপত্র ক্রয়ের উপর এক শতাংশ কমিশন চাইছেন। আমার কাছে এমন অভিযোগ জমা পড়ে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খোঁজখবর নিই। তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় শৃঙ্গলার নাম উঠে আসে। অকাট্য প্রমাণ মেলার পরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলার দায়েরের নির্দেশ দিই। মন্ত্রিসভা থেকেও শৃঙ্গলাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী দল, সংবাদমাধ্যম — কেউই এই দুর্নীতির কথা জানত না। শুধু আমিই জানতাম। কিন্তু, আমরা এক টাকারও অনিয়ম বরদাস্ত করব না। দুর্নীতিমুক্ত পাঞ্জাব গড়াই আমাদের লক্ষ্য। ’ সরকার গঠনের দু’মাস না কাটতেই এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা যে উঠেপড়ে লাগবে, সেব্যাপারে নিশ্চিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বার্তা, ‘আমি কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। ’
প্রশাসন সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে শৃঙ্গলার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কানে আসে। তারপরই দপ্তরের আধিকারিকদের খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। নির্ভয়ে তদন্ত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এসংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডিংও হাতে আসে। তারপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন মান।
২০১৫ সালে রেশন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল দিল্লির তত্কালীন খাদ্যমন্ত্রী আসিম আহমেদ খানের। তখনই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেইসঙ্গে, দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। দিল্লির পর এবার পাঞ্জাবেও সরকার গড়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। তার মাস দু’য়েকের মধ্যেই ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন ভগবন্ত মান। তাঁর এই পদক্ষেপে ‘গর্বিত’ কেজরিওয়ালও। সেকথা গোপন করেননি আপের শীর্ষ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। টুইটারে তাঁর আবেগঘন বার্তা, ‘আপনার কাজে গর্বিত। এই পদক্ষেপ আমার চোখে জল এনে দিয়েছে। গোটা দেশ আজ আপের জন্য গর্বিত।’
উল্লেখ্য, মানসা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন পেশায় দাঁতের ডাক্তার বিজয় শৃঙ্গলা। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী শুভদীপ সিং সিধুকে হারিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। ইতিহাস গড়ে ক্ষমতায় আসে আপ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন বিজয়। কিন্তু, দুর্নীতির দায়ে কয়েকমাসের মধ্যেই পদ খুইয়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হল তাঁর।