দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চকপাড়া রোড বর্তমানে বালি পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনস্থ। তবে মাঝে বালি হাওড়া পুরসভার আওতায় চলে গিয়েছিল। এখন আবার একই রাস্তার একপাশে বালি এবং অপরদিকে ডোমজুড় পুরসভা। রয়েছে আনন্দনগর পঞ্চায়েতও। অথচ রাস্তা তৈরি হয়নি দীর্ঘ চার বছর। এদিকে এলাকার মূল রাস্তা হওয়ায় লরি থেকে ছোট গাড়ির চাপ বেশি। ফলে খানাখন্দ ক্রমশ বাড়তে বাড়তে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে গোটা রাস্তাটিই। কোথাও কোথাও সেই গর্ত তিন ফুট পর্যন্ত গভীর হয়ে গিয়েছে। আর সেই গর্তের দৈর্ঘ্য কোথাও আট ফুট, তো কোথাও তারচেয়েও বেশি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্থানীয় বাসিন্দারা একপ্রকার বাধ্য হয়েই ‘পরিত্যাগ’ করেছেন এই রাস্তাকে। বয়স্ক হোক বা রোগী, প্রত্যেককেই অন্য রাস্তা ঘুরে পৌঁছতে হয় গন্তব্যে। নিত্যদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে বর্ষার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে এলাকাবাসীকে। এক বাসিন্দা বিনু দত্ত বলেন, আমরা দু’টি পুরসভাকেই জানিয়েছি। মহকুমা শাসক থেকে জেলাশাসক, প্রত্যেককে চিঠি দিয়েছি। কোনও ফল হয়নি। চার বছর ধরে আমরা রাস্তা পাই না। আরও এক বাসিন্দা ডাঃ অসীম ঘোষ বলেন, গর্তগুলি দূর থেকে দেখলে পুকুর মনে হয়। এভাবে কোনওদিন মানুষ যাতায়াত করতে পারে? কতদিন বয়স্ক মানুষগুলি ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করবেন কেউ জানেন না। দুই বিধায়কের কেউ উদ্যোগ নেন না। পুরসভা ও পঞ্চায়েত, দু’পক্ষই নির্বিকার।
এদিকে, দ্রুত রাস্তার হাল ফিরবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বালির বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে জল জমার সমস্যা মেটাতে চাই। যেহেতু জমা জল রাস্তা খারাপ করে দেয়, তাই নিকাশির কাজ প্রথমে হচ্ছে। এজন্য দু’কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বালি পুরসভার। নিকাশি নালার সংস্কারের কাজ হয়ে গেলেই আমরা রাস্তার কাজে হাত দেব। লিলুয়াতে গোশালা রোড হচ্ছে। চকপাড়া রোডও তালিকায় রয়েছে। অন্যদিকে, বালি পুর প্রশাসক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, কিছুটা আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তবে আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।