দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বা যশোর রোডের সম্প্রসারণের দাবি দীর্ঘদিনের। এই রাস্তা দিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পণ্য বোঝাই ট্রাক পেট্রাপোল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে যায়। পাশাপাশি দু’দেশের যাত্রীরাও এই পথ দিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করেন। পাশাপাশি বনগাঁ মহকুমার বাসিন্দাদের নিত্য কাজের জন্য এই রাস্তাকে ব্যবহার করতেই হয়। ফলে যশোর রোডে গাড়ির চাপ মারাত্মক। রাস্তার দু’দিকে প্রাচীন গাছ কাটা নিয়ে মামলা চলায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ থমকে গিয়েছে। অন্যদিকে, বারাসতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের প্রশ্নেও জমিজট রয়েছে। তাই আমডাঙা ও বারাসতের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে এই দুই জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশে রাস্তা বেহাল। ফুটপাত না থাকায় এই রাস্তা কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অশোকনগরের খোসদেলপুর মোড় থেকে ৩ নম্বর রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে ফুটপাত বলে কিছু নেই। একইভাবে আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’দিকে অনেক জায়গাতেই ফুটপাত অনেকটাই নীচে। ফলে ফুটপাতে চাকা পড়লে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি। অশোকনগরের গোলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গুপি মজুমদার বলেন, গত ছ’মাসে অশোকনগর ৩ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৃথক পৃথক দুর্ঘটনার মারা গিয়েছেন ছ’জন। বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, রাস্তা সংস্কার নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উদাসীন। মানুষের জীবন নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছে। অশোকনগর ও আমডাঙায় কোথাও ফুটপাত নেই, কোথাও রাস্তা বেহাল। অবিলম্বে ফুটপাত তৈরির দাবিতে চিঠি দিয়েছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে মানুষই প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে।