বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এদিন বাইকে চড়ে বারাকপুর থেকে বারাসতের দিকে যাচ্ছিল। বিরিয়ানির দোকানের সামনে বাইকের গতি কমিয়ে গুলি চালায় তারা। একটি গুলি দোকানের কর্মী প্রদীপ সিংয়ের বুকে লাগে। সেই সময় বিরিয়ানি নেওয়ার জন্য দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন রাজেশ মণ্ডল। তাঁর হাতের আঙুলে গুলি লাগে। গুরুতর জখম প্রদীপবাবুকে প্রথমে বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। গুলিচালনার সময় দোকানের মালিক বাপি দাস কাউন্টার থেকে উঠে গিয়েছিলেন। বরাতজোরে রক্ষা পান তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে তাঁকেই খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
এদিন ঘটনাস্থলে যান বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভর্মা। দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তদন্তে বেশ কিছু ‘ক্লু’ ইতিমধ্যেই পুলিসের হাতে এসেছে বলে তিনি জানান। কিছুক্ষণ পরে ওই দোকানে আসেন বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তিনি বলেন, ভয় দেখাতেই এসব করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। দুষ্কৃতীরা পার পাবে না।
ওই সময় দোকানে সেই অর্থে ভিড় ছিল না। তাই হামলা চালাতে এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। দোকানের মালিক বাপি দাস বলেন, মাত্র দু’মিনিট আগে আমি কাউন্টার ছেড়ে উঠে যাই। গুলির শব্দে ছুটে এসে দেখি, এক ক্রেতা ও কর্মী জখম হয়েছেন। বাপিবাবুর পুত্রবধূ শ্রমণা দাস বলেন, ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা বলে আমাদের আশঙ্কা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তবে প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এর আগে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। হুমকি দিয়ে ফোনও এসেছিল। কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা বা ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিস। তোলাবাজির জন্য আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।