বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরেই আকাল চলছে ইলিশের। ফলে বড় লাভের মুখ দেখতে পাননি ট্রলার মালিকরা। আর এক মাস বাদে বর্ষা নামলেই জালে উঠতে শুরু করবে রুপোলি ফসল। তার আগে যাতে কেউ ট্রলার নিয়ে ইলিশ ধরতে না যায়, সে ব্যাপারে একমত হয়েছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু অসাধু চক্র বেআইনিভাবে খোকা ইলিশ ধরে এনে বাজারে বিক্রি করছে। তাঁদের এই প্রবণতা রুখতে পুলিস ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তাই এবার মৎস্যজীবীরাই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈঠকটি হয়েছিল ডায়মন্ডহারবারে। তিনটি জেলার মৎস্যজীবীদের ৬২টি সংগঠন এই বৈঠকে অংশ নেয়। ইলিশ ধরার মরশুমে কী করণীয়, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। সেখানেই খোকা ইলিশ ধরার কথা ওঠে। তখনই ঠিক হয়, কেউ খোকা ইলিশ ধরছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হবে। ধরা পড়লেই ট্রলার মালিক সহ সেই ট্রলারের প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, গতবার পুলিসের চোখ এড়িয়ে অনেকে খোকা ইলিশ তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। এবার সেসব হবে না। আজ, মঙ্গলবার মৎস্য বিভাগের কর্তাকে এ নিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
এদিকে, বর্ষার মুখে ২০০ ট্রলারের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করল না মৎস্যবিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। মূলত দু’ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়— এক, গ্রিল নেট এবং দুই, ট্রল নেট। যে কোনও একটি জালের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। অথচ, বেশ কিছু অসাধু ট্রলার মালিক দু’ধরনের জাল ব্যবহার করেই মাছ ধরেন। বিষয়টি নজরে আসতেই পদক্ষেপ করেছে মৎস্যবিভাগ।