বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোমবার সকালে মাতলা নদীর বাঁধ ফুটো হয়ে তোড়ে জল ঢুকে পড়ে কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের গায়েনের চকে। চাষের জমিও চলে যায় জলের তলায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান জয়নগর সেচদপ্তরের বাস্তুকাররা, কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী এবং পুলিসকর্মীরা। জেসিবি মেশিন এনে জরুরি ভিত্তিতে চলে বাঁধ মেরামতের কাজ। বিডিও বলেন, রাতের মধ্যে বাঁধ মেরামত করে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। জয়নগর সেচদপ্তরের অতিরিক্ত বাস্তুকার বলেন, বাঁধ ভাঙেনি। ১০ ফুটের মতো ফুটো হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তা মেরামতের কাজ হচ্ছে। এদিকে, গঙ্গাসাগরেও এদিন কয়েকটি গ্রামে বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়ে। কিছু জায়গায় দেখা দেয় ছোটখাট ভাঙন।
গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা ভরত হালদার বলেন, আগে থেকেই বাঁধ দুর্বল ছিল। তাই ভরা কোটালের জেরে বাঁধ ফুটো হয়ে গিয়েছে। যদি পুরো ভেঙে যায়, গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হবে। আরেক বাসিন্দা মেঘনাদ হালদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করা হয়। এবারে চাষের জমিতে জলে চলে গিয়েছে। রাতভর যদি জল ঢোকে, কী যে অবস্থা হবে তা ভগবানই জানেন। অন্য এক বাসিন্দা সঞ্জয় হালদার বলেন, জমিতে জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান, সবাইকে জানানো হলেও কেউ আসেননি। রাতে আমাদেরই বাঁধ পাহারা দিয়ে থাকতে হবে।
এদিকে, পূর্ণিমার ভরা কোটালের আগেই জোয়ারের জলে বাঁধ ভেঙে পড়েছে মিনাখাঁ আটপুকুর এলাকায়। তবে এলাকাবাসীদের তৎপরতায় বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। রবিবার দুপুরে জোয়ারের জলে আটপুকুর অঞ্চলের উচিলদহ ভাঙাপাড়ায় নিমতলার কাছে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ প্রায় ১৫ ফুট ভেঙে যায়। নোনা জল ঢুকতে শুরু করে জমিতে। খবর পেয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আটপুকুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের উদ্যোগেই বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢোকা জল একটি খালের মাধ্যমে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিকেলের দিকে ভাটা লাগলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে বাঁধের একাংশ।