বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইতিমধ্যেই এনিয়ে সক্রিয় ভাবনাচিন্তার ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার মাইতিপাড়া এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ভার হুগলির গ্রামীণ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ওই রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করত চন্দননগর কমিশনারেট। সোমবার রাজ্যের এডিজি (ট্রাফিক ও পথ নিরাপত্তা) এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন। বর্তমানে কর্মরত সব পুলিসকর্মীকে এখানে বহাল রেখেই নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ পুলিসের হাতে। জেলা প্রশাসনের একাংশের দাবি, এতে ট্রাফিক ব্যবস্থার সক্রিয়তা বাড়বে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার মানুষের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী—সেই বার্তাও দেওয়া যাবে। এদিন এই নির্দেশিকা প্রকাশের পরেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে তীব্র আক্রমণ করে রাজ্যের শাসক দল। হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বারবার করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে মাইতিপাড়ার রাস্তা চওড়া করা এবং সংস্কারের আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা কানেই তোলেনি। ফলে একাধিক জেলার মানুষকে নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। আমাদের সরকার মানুষের ছোট-বড় সমস্ত সমস্যার কথা ভাবে। মাইতিপাড়ার সমস্যা সামাল দিতে তাই ট্রাফিক ব্যবস্থাকেই বদলে ফেলা হল। রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারেও রাজ্য সরকার সক্রিয় পদক্ষেপের কথা ভাবছে বলে জেনেছি।
বর্ধমান থেকে আসা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোডের সংযোগস্থলের পরেই মাইতিপাড়া। এরপর রাস্তা হাওড়ার দিকে বেঁকে গিয়েছে। আরেকটি অংশ এসেছে সিঙ্গুরের দিকে। একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বম্বে রোডও। হুগলি, বর্ধমান সহ একাধিক জেলা থেকে সড়কপথে কলকাতা যাওয়ার সহজ রাস্তা এই মাইতিপাড়া হয়েই গিয়েছে। কিন্তু মাইতিপাড়ার মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তা এই সহজ পথকে দুর্গম করে তুলেছে। এই রাস্তার ওই অংশ যেমন চওড়া করা হয়নি, তেমনি সংস্কারের অভাবে তা ভেঙেচুরে বেহাল হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বারবার জেলা ও রাজ্যের তরফে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন করা হলেও এ যাবৎ কোনও পদক্ষেপ হয়নি।
এরই জেরে মাইতিপাড়ার কাছে এসে গাড়ি চলাচলের গতি কমে গিয়ে বিপুল যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রায় দিনভর যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে—এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে কারও কারও। পাশাপাশি ওই যানজটের জেরে সিঙ্গুর পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে হুগলি জেলার অভ্যন্তরীণ যোযাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ছে। উৎসবের মরশুমে ব্যবসায়ী থেকে আমজনতা, পর্যটক থেকে নিত্যযাত্রী সকলকেই তীব্র ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। সোমবার রাজ্য সরকারের সমস্যা মেটানোর জন্য একতরফা পদক্ষেপের পর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা নেয়, সেদিকে নজর রাখছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনও সরকারি বিবৃতি পাওয়া যায়নি।