বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে বহু এলাকা রয়েছে, যেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সারা বছরই দুর্বল। ওইসব এলাকাগুলিকে মোবাইল ‘স্যাডো জোন’ বলা হয়। শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়, নির্বাচনের সময়ও ওইসব এলাকায় হ্যাম রেডিওকে কাজে লাগানো হয়। গত বছর উম-পুনের সময় কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া-হুগলি মিলিয়ে হ্যাম রেডিওর মোট ন’টি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এবার যশের জন্য আরও অতিরিক্ত ৩৩টি টিমকে নিয়ে ৪২টি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক সময় উদ্ধারকার্যে প্রত্যন্ত এলাকায় সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা কাজ করেন। তাঁদের কোনও প্রয়োজন পড়লে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। আবার উপর থেকে তাঁদের কোনও নির্দেশও পাঠানো সম্ভব হয় না। কিন্ত, এবার সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা হ্যাম রেডিও ব্যবহার করলে এই সমস্যা থাকবে না।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি-১, সন্দেশখালি-২ এলাকার সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের জন্যই এই প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে। হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ তাঁদের অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ব্যাপারে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা প্রশিক্ষণ নেবেন এবং হ্যাম রেডিওর সম্পূর্ণ কোর্সও করবে। সমস্ত কিছু শেখার পর তাঁরাই হ্যাম রেডিও অপারেট করবেন। তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, সামনের সপ্তাহ থেকেই আমরা প্রশিক্ষণ দেব। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের অধ্যক্ষ ডঃ পশুপতি মণ্ডলও রেডিও থিওরির ক্লাস নেবেন। কোনও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার ব্যক্তিগতভাবে হ্যাম রেডিও হয়তো ব্যবহার করে থাকতে পারেন। কিন্তু, প্রশাসনিকভাবে এই উদ্যোগ দেশের মধ্যে প্রথম। এর আগে কোথাও হয়নি। এটা শুধু বড় উদ্যোগই নয়, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।