নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গু নিধনে বিশেষ অভিযানে নামল কলকাতা পুরসভা। শুরু হয়েছে বিভিন্ন বরো ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠক। আগামী তিন মাস সতর্ক থেকে চলবে লাগাতার নজরদারি। বিশেষ করে নির্মীয়মাণ বহুতল ও বন্ধ স্কুল-কলেজে বেশি করে নজর দেওয়া হবে। সারা বছর পুরসভা ডেঙ্গু নিয়ে লেগে থাকলেও বর্ষার মরশুমে বিভিন্ন জায়গায় জল জমবে। ডেঙ্গুর মশা জন্মানোর আশঙ্কা থাকবে। তাই বিশেষ ড্রাইভ শুরু করেছে পুরসভা। 
সম্প্রতি পুরসভার ১১ নম্বর বরো অফিসে বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ। বৈঠকে নিকাশি, ভেক্টর কন্ট্রোল, জঞ্জাল সাফাই সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই বরো এলাকার ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালের ডেঙ্গু রিপোর্ট নিয়ে ট্যালি করা হয়। দেখা যায়, ২০১৯ সালে ওই অঞ্চলে মাত্র দু’টি ডেঙ্গু কেস পাওয়া গিয়েছিল। গত দু’বছরে সেই সংখ্যাটা শূন্য। যা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অতীন।। ঠিক হয়েছে, বর্ষার মরশুমে আগামী তিন মাস ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান চালাবে পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ। মূলত বিভিন্ন বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ এবং নির্মীয়মাণ বহুতলে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। কোনও নির্মীয়মাণ আবাসনে ঢুকতে দেওয়া না হলে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সেখানে কাজ বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেবে। এই প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, গত দু’বছরে কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। কিন্তু তাই বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও জায়গা নেই। কারণ বৃষ্টি বেশি হলে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এভাবে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোতেই এমন প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে এবং ডেঙ্গু নিয়ে পর্যালোচনা চলবে। আজ বুধবার ১০ নম্বর বরোয় প্রশাসনিক বৈঠকের কথা রয়েছে। ডেঙ্গু নিধনে কাজে লাগানো হবে ড্রোন। বিভিন্ন সুউচ্চ ইমারত কিংবা নির্মীয়মাণ বাড়ির উপরে ড্রোন উড়িয়ে জমা জল আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।