বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিধানসভা ভোটে বামেদের মতো কংগ্রেসও এবার শূন্য আসন পেয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে। কংগ্রেসের গড় বলে একদা পরিচিত নিজের জেলা মুর্শিদাবাদ থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে প্রদেশ সভাপতিকে। এই অবস্থায় ফল বেরনোর দেড় মাস পর তা বিশ্লেষণের জন্য প্রথমবারের জন্য এদিন বিধান ভবনে বৈঠক ডাকেন অধীর। যদিও সেই বৈঠকে আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যদের মতো অনেক বর্ষীয়ান নেতাকেই দেখা যায়নি। কোভিড পরিস্থিতি ও প্রবল বৃষ্টিকেই অবশ্য এজন্য দায়ী করেছেন অধীর। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই দলের অনেকে আঙুল তুলেছেন। এদিনের বৈঠকে অবশ্য বামেদের সঙ্গে জোট করার কার্যকারিতা নিয়ে দুই ধরনের মতই উঠে আসে। কেউ কেউ সরাসরি সমালোচনায় মুখর হন হাইকমান্ডের ভূমিকা নিয়েও। জোটপন্থী নেতাদের যুক্তি ছিল, ভোটে পরাজয়ের জন্য কেবল বামেদের সঙ্গে জোট করাকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরে অনেকে নিজেদের গাফিলতি আড়াল করতে চাইছেন। জোট গঠনে অহেতুক কালক্ষেপ করা, দলের সংগঠনের দুর্বলতা বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপেক্ষাও এই ফলের জন্য দায়ী। অন্যদিকে, বামেদের সঙ্গে জোট করা এবারেও কাল হয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকে। প্রচারে বামেদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। জোট নিয়ে হাইকমান্ড দিশাহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেছে বলেও দু-একজন অধীরপন্থী নেতা মুখর হন বৈঠকে। এমনকী, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে রাহুল গান্ধী কেন ট্যুইট করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। - ফাইল চিত্র