একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
জুনওয়েকে জেরা করতে গিয়ে প্রতি পদক্ষেপেই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তদন্তকারীদের। এই চীনা নাগরিক ইংরেজি ভালোভাবে বুঝতে পারে না। এমনকী বলতেও পারে না। তার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড বের করতে কালঘাম ছুটেছে গোয়েন্দাদের। গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড কী? চীনা ভাষায় সে বলে, এসব কিছু সে জানে না। তার কথায়, ল্যাপটপ অন করার পর সেদেশে ফোন করে সে পাসওয়ার্ড জানত। তার দাবি, প্রতিদিন পাল্টানো হতো পাসওয়ার্ড। যে কারণে নির্দিষ্ট কোনও পাসওয়ার্ড তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ল্যাপটপের প্রতিটি ফাইলের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ছিল। যা চীনের গোয়েন্দা সংস্থা গুয়ান বু’র কর্তারা জানতেন। ল্যাপটপের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল চীনা গুপ্তচর সংস্থার। তারাই এই ল্যাপটপ তাকে দিয়েছিল। তাই তার পক্ষে ল্যাপটপের প্রযুক্তিগত স্পেসিফিকেশন বলা সম্ভব নয়। আর ল্যাপটপ খোলা না গেলে কী কী তথ্য পাচার করা হয়েছে, তাও জানা সম্ভব নয়। তাই দোভাষীর মাধ্যমে তাকে জেরা করে চীনের গুপ্তচর সংস্থার কাজকর্ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। তাই ভিন রাজ্যে ধরা পড়া চীনা নাগরিকদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। জুনওয়ের সঙ্গে সেদেশের গুপ্তচর সংস্থার যোগাযোগ কোন পর্যায়ে ছিল এবং ভারতে তারা কাকে রিপোর্ট করত, তা জানার চেষ্টা চলছে।