বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনার গ্রাফ দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল ১০ দিনে প্রায় আড়াই গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। যেখানে ১৫ এপ্রিল শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দিনে ১৬১৫ জন, সেখানে ২৫ এপ্রিল তা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় দিনে ৩৭৭৯ জন। মাত্র ১০ দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২১৬৪ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু তারপরে সেই গ্রাফ মোটামুটি স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে শুরু করে। ৭ মে-এর বা শুক্রবারের হিসেব বলছে, এদিন শহরে ৩৯১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি দেড়শো থেকে দু’শো মতো বেড়েছে। এই তথ্যই বলছে, শেষ ১০ দিনে মহানগরে সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত ছড়ায়নি। ফলে এই অবস্থায় এখনই শহরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করতে চায় না পুর প্রশাসন। জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্ট, বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে। ১৪৪টি ওয়ার্ডে অটো করে মাইকিং এবং লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাজার, বস্তি এবং আবাসনে ফের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়াতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখনই কনটেইনমেন্ট জোন করার কোনও ভাবনা চিন্তা নেই। প্রথম ঢেউয়ের সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল, এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও। এবারেও তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যে মোবাইল ইউনিট বা অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, সেই গাড়ি পাঠিয়ে জনবহুল জায়গায় (বাজার) করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। একদিনে অন্তত ২৫০-৩০০ জনের র্যাপিড আ্যান্টিজেন টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। পুরসভা বলছে, সরকার এমনিতেই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই নতুন করে শহরের ভেতরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করলে, তাতে মানুষের সমস্যা বাড়বে। তার বদলে গত বছরের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে অ্যান্টিজেন টেস্ট, প্রচার করলে সেটা সুফল দেবে। পুরসভার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, বর্তমান যা পরিস্থিতি, এটা যদি চলতে থাকে তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করবে। সেই কারণেই আপাতত মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে না। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ফের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হয়, তাহলে নতুন করে ভাবনা চিন্তা হবে।