একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রতিবার যেমন ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ মাসে গ্রামবাংলার নানা অনুষ্ঠানে যাত্রার ভালো বুকিং মেলে, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারও তাই হবে। তেমনই আশা পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলনের সভাপতি সমীর সেনের। সরকারি সিলমোহর পাওয়ার পর কয়েকটি দল অবশ্য তাদের নতুন বছরের যাত্রাপালা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। তাতে অল্পস্বল্প সাড়াও মিলছে।
মূলত, রথের দিন থেকে যাত্রাপালার মহরত শুরু হয়। ওই দিন থেকেই চিৎপুরে বিভিন্ন যাত্রাদলের গদিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায় নতুন যাত্রাপালার বায়না। সেই বায়না চলতে থাকে দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত। এরপর ষষ্ঠী থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রাপালার আসর। কিন্তু করোনার কারণে এবার রথের দিন চিৎপুর যাত্রাপাড়ার বিভিন্ন গদি এবং বাগবাজার যাত্রা অ্যাকাডেমি মঞ্চে নম নম করে পুজোটাই শুধু হয়েছিল। যাত্রার মহরত ও বায়না সবই ছিল বন্ধ। খাঁ খাঁ করছিল চিৎপুর যাত্রাপাড়া। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গদির ঝাঁপ।
বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী রুমা দাশগুপ্তর কথায়, ‘করোনার কারণে যাত্রা, থিয়েটার, নাটক-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই এবার দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর যে ফের যাত্রার রিহার্সাল শুরু হয়েছে, তাতে আমরা খুশি।’ দীর্ঘ সময় যাত্রাপালা বন্ধ থাকার কারণে যাত্রার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হয়েছে। আর্থিকভাবে তাঁরা প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, যাত্রাকর্মীদের পড়তে হয়েছে নানা অভাব-অনটনে, যার জের এখনও চলছে। সেদিক থেকে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা হলেও তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন। যাত্রাশিল্পীদের বক্তব্য, তাঁরা চান, গ্রামবাংলার বুকে স্বমহিমায় ফের শুরু হোক যাত্রাপালার আসর।
অনেকেরই বক্তব্য, এই কঠিন সময়ে সরকার তাঁদের পাশে থেকে নানাভাবে সাহস জুগিয়েছে। শুধু তাই নয়, যাত্রা অ্যাকাডেমির সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নানা সময়ে যাত্রা কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মিটিংও করেছেন, তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন। এটাও তাঁদের কাছে একটা বাড়তি অক্সিজেন।সব মিলিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে চিৎপুর-সহ গ্রামবাংলার বিভিন্ন ছোট-বড় দল নতুন উদ্যমে যাত্রার রিহার্সাল শুরু করে দিয়েছে। তাতে এই শিল্প ফের জেগে উঠবে বলে মনে করেন যাত্রার সঙ্গে যুক্ত সকলেই।