বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক অভিজাত পরিবারের ওই তরুণীর বাড়ি গড়ফা থানা এলাকায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরতা। গত ২২ নভেম্বর তিনি আলিপুরে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরতে রাত ৯টা বেজে যায়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও বাস না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই ওই তরুণী অ্যাপনির্ভর বাইক বুক করেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি আলিপুরের দেশি লেন থেকে ওই বাইকে ওঠেন। তরুণী পুলিসকে জানিয়েছেন, বাইকে ওঠার পর থেকেই চালক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে চেষ্টা করে। শুরুতে নাম, ঠিকানা জানতে চায়। কী করেন, তাও জেনে নেয় কথায় কথায়। দু’-একটি প্রশ্নের জবাব দিলেও পরে প্রশ্ন এড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। এরপরই আচমকা শারীরিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করে ওই চালক। তাঁর বয়ফ্রেন্ড আছে কি না, থাকলে তাঁর সঙ্গে কতবার কতবার যৌন সম্পর্ক হয়েছে ইত্যাদি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সে। তরুণী বুঝতে পারেন বাইকচালকের কুমতলব রয়েছে। প্রতিবাদ করলে আসলাম তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই বাড়ির কিছুটা আগে বাইক থেকে নেমে যান। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সময় লক্ষ্য করেন, ওই বাইকচালক তাঁর পিছু নিয়েছে। এমনকী বাড়ির দরজা পর্যন্ত চলে আসে অভিযুক্ত। বাড়ি ফিরেই ওই তরুণী কলকাতা পুলিসের পেজে গিয়ে মেল করে গোটা বিষয়টি জানান। লালবাজারের কাছে অভিযোগ যাওয়ার পর তৎপর হয়ে ওঠে পুলিস। জানানো হয় গড়ফা থানাকে। থানার এক অফিসার ফোনে যোগাযোগ করেন ওই তরুণীর সঙ্গে। থানার অফিসাররা তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। এর মাঝে ওই তরুণী অ্যাপনির্ভর বাইক পরিষেবা সংস্থায় মেল করে গোটা ঘটনা জানান। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাইক চালকের নাম ও গাড়ির নম্বর জানতে পারেন অফিসাররা। জানা যায়, আসলাম নামের ওই বাইক চালকের বাড়ি হরিদেবপুর এলাকায়। এরপর একটি টিম সেখানে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আগেও উঠেছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়ে খোঁজখবর করছেন অফিসাররা।