একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
অনেকেই বলেন, ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে জোরে শ্বাস নিলেই দিব্যি টের পাওয়া যায় অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা ভাজার গন্ধ। চার মাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল এই রেস্তরাঁ। সপ্তাহখানেক হল তালা খুললেও বিক্রি আদৌ আশানুরূপ নয়। কর্মচারীরা বলছেন, দিনে গড়ে ৩০টার মতো মোগলাই পরোটা বিক্রি হচ্ছে।
তবে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দোকান, আগামীদিনে ঐতিহ্যের টানে পথচলতি মানুষ আসবেন, সেই আশা করাই যায়।
অন্য সময় দুপুরে চিত্তবাবুর দোকানের স্টু খেতে গমগম করত ডেকার্স লেন। এখন রাস্তার উপর ছোট করে চলছে দোকান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিসপোজেবল প্লেট-বাটি-কাপে পরিবেশন হচ্ছে টোস্ট, ঘুগনি, স্টু, চিকেন কষা এবং চা। অন্যতম কর্ণধার সুজয় রায়ের বক্তব্য, আগে দিনে ১৬০ কেজি কয়লা লাগতো। এখন ২০ কেজিই শেষ হচ্ছে না। তার ওপর কাগজের কাপ-প্লেটে দৈনিক ৭০০ টাকা বাড়তি খরচ।
১১০ বছর ধরে কবিরাজি পরিবেশনে ছেদ পড়েনি শোভাবাজারের মিত্র কাফের। লকডাউন সেই দিন দেখিয়েছে। এখন শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষার পরই মিলছে দূরত্ব মেনে ডিসপোজেবল প্লেট-চামচে কবিরাজি, ডায়মন্ড ফিশ ফ্রাই, ব্রেন চপ খাওয়ার ছাড়পত্র। অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার সোমনাথ বোস জানান, কমবয়সিরা শুধু বসে খাচ্ছেন। একটা বড় অংশের মানুষ হয় খাবার নিয়ে চলে যাচ্ছেন, নয়তো অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছেন। সল্টলেক-রাজারহাটের প্রবীণ মানুষদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রন কাটলেটে আজও জুড়ি মেলা ভার শোভাবাজারের ১৩৮ বছরের অ্যালেন কিচেনের। করোনা পরিস্থিতির জন্য আপাতত দোকানে বসে খাবার সুযোগ নেই। তবে ফিশ ফ্রাই, ফিস কাটলেট বিক্রি হচ্ছে। কর্মকর্তা দীপক সাহা জানান, লকডাউন বাদ দিয়ে দোকান প্রতিদিন খোলা থাকছে। আশানুরূপ ভিড় হচ্ছে না। শুধু মুখ চেয়ে রয়েছি পুজোর দিকে। মনে হচ্ছে ততদিনে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
মাটন সিঙ্গাড়া, মাছের কচুরির জন্য কালীঘাটের ‘আপনজন’-কে এক নামে চেনেন ভোজনরসিকরা। সেখানেও বসে খাওয়ার পর্ব আপাতত বন্ধ। তবে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মাটন সিঙ্গাড়া হটকেক। এই বাজারেও সাড়ে চারটেয় শুরু হলে ছ’টার মধ্যে শেষ। তবে অনলাইনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
কলেজ স্ট্রিটের ৮৭ বছরের পুরনো বসন্ত কেবিন চলছে মাত্র দু’জন কর্মচারী দিয়ে। পড়ুয়ারা নেই। টেনেটুনে বিক্রি মাত্র ১০ শতাংশ বলে জানান মালিক। ১৯২২ সালে চালু হওয়া গিরিশ পার্কের নিরঞ্জন আগারের সুনাম আজও অমলিন। বিখ্যাত হাঁসের ডিমের ডেভিল খেতে মার্চের শুরুতেও ছিল ঠাসা ভিড়। লকডাউনের শুরু থেকে রেস্তরাঁ বন্ধ। দরজায় ১৭ জুলাই খোলার নোটিস থাকলেও ঝাঁপ এখনও ওঠেনি। বন্ধ রয়েছে শ্যামবাজারের গোলবাড়ির কষা মাংসের দোকানও।