একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে খবর, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কাদেবীর সঙ্গে দেড় বছর আগে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আশিসবাবুর বিয়ে হয়। কিন্তু শুরু থেকেই পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। সাত-আট আগে প্রিয়াঙ্কাদেবী জানতে পারেন, তাঁদের পিছনের বাড়ির এক মহিলার সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে অশান্তি আরও বাড়ে। যতবার তিনি এর প্রতিবাদ করেছেন, ততবারই তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী দিনের পর দিন ঘরে বন্ধ করেও রাখা হয় তাঁকে। মৃতার ভাই অর্ণব মিদ্দা বলেন, মারধরের ফলে দিদির গায়ে কালশিটে পড়ে যেত। আতঙ্কে ও মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি চলে আসত। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁকে আবার বুঝিয়ে সুজিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতেন আশিসবাবু। দুই পরিবারের মধ্যে এ নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও ইতিবাচক ফল বেরয়নি।
এদিকে, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আশিসবাবু প্রিয়াঙ্কার ভাইকে ফোন করে বলেন, তাঁর বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন করলেও ধরছে না। এই শুনে হন্তদন্ত হয়ে অর্ণব ও পরিবারের অন্যান্যরা ছুটে আসেন দিদির বাড়িতে কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় তাঁদের। বেশ কয়েকবার কলিং বেল বাজিয়েও সাড়া না মেলায় বাড়ির পিছনের একটি দরজা কোনওক্রমে খুলে ভিতরে ঢোকেন। গিয়ে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে প্রিয়াঙ্কাদেবী।
আশ্চর্যজনকভাবে গোটা বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। এরপরই বারইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ভাই। জানা যায়, এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন আশিসবাবু। এদিন সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শুধু স্বামী নয়, মারধরের ঘটনায় যুক্ত শাশুড়িও। তাঁকেও গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে, কী কারণে খুন, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী মিদ্দা।