বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ব্যাঙ্কের নাম করে গ্রাহকের কাছে ভুয়ো ফোন আসার অভিযোগ বিস্তর। প্রায়শই শোনা যায়, ডেবিট কার্ডের নম্বর ও পিন নম্বর বদলানোর নাম করে ফোন আসে গ্রাহকের কাছে। কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সেই ফাঁদে পা দিলে গায়েব হয়ে যায় হাজার হাজার টাকা। তাই পুলিস ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ভুয়ো ফোন কল নিয়ে সচেতন করে গ্রাহকদের। কিন্তু বিধাননগরের যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা একেবারেই নজিরবিহীন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর গোপালপুরমের বাসিন্দা জয়শ্রী শেখরের চেন্নাইয়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্টের নথি প্রথমে জোগাড় করে প্রতারক। এরপর গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি বদল করার আবেদন আসে ব্যাঙ্কের কাছে। তা মঞ্জুর করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তারপর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয় তিন কোটি টাকা। যেহেতু মোবাইল নম্বর বদলে ফেলা হয়েছিল, ফলে গ্রাহকের কাছে এসএমএস অ্যালার্ট যেত না। তিনি জানতেও পারেননি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি সামনে আসে ব্যাঙ্কের ইন্টারনাল অডিটের সময়। গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে জানতে পারে, তিনি ওই টাকা লেনদেন করেননি। মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি বদলানো হয়েছিল কলকাতা থেকে। ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে বাগুইআটিতে। কোর ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে বাগুইআটির ওই শাখাকে ব্যবহার করে প্রতারক টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রথমে ঘটনাটি অডিট রিপোর্টে ধরা পড়ার পর বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ জানান ওই ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার সুনিতা দে। তারপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। অ্যাকাউন্টে লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত নথি পরীক্ষা করে সমীরণ সাহা সম্পর্কে তথ্য পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিসি জেরায় সে মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি বদলানোর কথা স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, এই মোবাইল নম্বর বদলের আবেদন জানানো হয়েছিল বাগুইআটির ওই শাখায়। এই ঘটনায় সমীরণের সঙ্গে ব্যাঙ্কের ওই শাখার কোনও কর্মীর যোগাযোগ ছিল কি না, পুলিস তদন্ত করে দেখছে। সমীরণের সঙ্গে আর কারা যুক্ত ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।