নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে উত্তর শহরতলির পুরসভাগুলির। মানুষকে সচেতন করতে প্রচারের উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার দক্ষিণদাঁড়ি ও নাগের বাজার সংলগ্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পুরসভা সূত্রে খবর, ৩০০ জনের উপর মানুষ করোনা আক্রান্ত। খোদ পুরসভার পাঁচজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান মুখ্য প্রশাসক পাচু রায়। যে কারণে পুরসভার অভ্যন্তরে চেয়ারম্যান ব্লক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার পাঁচুবাবু জানান, যে সমস্ত কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা পুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যদের ঘরে ফাইলপত্র আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। ফলে স্যানিটাইজেশন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই আগামী সাত দিন পুরসভায় কোনও সাক্ষাৎপ্রার্থীকে আসতে দেওয়া হবে না। তবে প্রশাসনিক কাজকর্মগুলি চলবে। আধিকারিকদের নজরে এসেছে, পুরসভায় এসে পুর কর দিতে শতাধিক মানুষ লাইন দিয়েছিলেন। যার মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল প্রবীণ নাগরিক। তাই প্রশাসকমন্ডলী বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুরসভায় কর গ্রহণের কাজ আপাতত স্থগিত রাখার। এক সদস্যের কথায়, মানুষজন অনলাইনের মাধ্যমে পুর কর দিতে পারবেন। প্রয়োজনবোধে ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে অনলাইন ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়া যাবে। নতুবা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুর কর দিতে না পারলেও, কোনও জরিমানা করা হবে না। যেহেতু দোকান-বাজারে জনসমাগম বেশি হচ্ছে তাই সেদিকেই আরও নজরদারি বাড়িয়েছে পুরসভা ও পুলিস। আজ, সোমবার পুরসভা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর দমদম।
পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী জানান, ক্যাশ বিভাগের এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কর্মী শুক্রবার ডিউটি করেছিলেন। ফলে সম্পূর্ণ পুরসভা স্যানিটাইজেশন করা হবে বলে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এদিকে উত্তর দমদমে শেষ তিন দিনে প্রায় ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুরসভার সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, দমদম অঞ্চলের বাকি দুই পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতাভুক্ত। কিন্তু উত্তর দমদম পুরসভার একটি ওয়ার্ডও কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকাভুক্ত নেই। কেন গোটা এলাকাকে ‘নিরাপদ’ দেখানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন উত্তর দমদমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। যার প্রত্যুত্তরে পুর প্রশাসক বলেন, কন্টেইনমেন্ট জোন করার ক্ষেত্রে কিছু যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে। বিরোধীদের কোনও দাবি থাকলে, তা তারা চিঠি লিখে জানাক।