পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দিনভর কোন্নগরে দাপিয়ে প্রচার করেন কল্যাণ। কখনও শিশুদের সঙ্গে তাঁকে খোজমেজাজে গল্প করতে দেখা গিয়েছে, কখনও তিনি ছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক। আজ, শুক্রবার শ্রীরামপুরে মেগার্যালি করে মনোনয়ন জমা দেবেন কল্যাণবাবু। তার আগে এদিন কোন্নগরে প্রচারের ফাঁকে তিনি বলেন, বাম আমলে ২০০৯ সালে ৫৬ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ আছে। বিচারব্যবস্থায় কেউ কী আছেন, যিনি এ নিয়ে সরব হবেন! বাংলার উন্নয়ন ও প্রগতি রুখে দেওয়ার চক্রান্তে বিজেপি’র সঙ্গে বামেরা হাত মিলিয়েছে। শুধুমাত্র হিংসা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে দু’টি দল। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে দ্রুত মাঠে নামেন দীপ্সিতা। এদিন তিনি কোন্নগরেই ছিলেন প্রচারে। দীপ্সিতা বলেন, ২০১৯ সালের পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন উনি চুপ করে ছিলেন কেন? বাংলার প্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়ের নাম তৃণমূল। বিজেপি আর তৃণমূল, দুই ফুলের যোগসাজশের কথা সবাই জানে। এদিন সকালে জগৎবল্লভপুরে ও বিকেলে উত্তরপাড়ায় প্রচার করেন বিজেপি’র লোকসভা প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। তিনি বলেন, বাম ও তৃণমূল দু’পক্ষই অন্যায়ভাবে চাকরি দিয়েছে। কেউ দলকে বড় করতে, কেউ টাকা কামাতে। মানুষের কাছে তাই আমরা বিচার চাইছি। জনতার আদালতে বিচার হোক।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এদিন সকাল সকাল প্রচার শুরু করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে তিনি চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত অশোক সাউয়ের বাড়িতে দেখা করতে যান। সেখান থেকে তিনি চলে যান ধনেখালিতে। আদিবাসী নাচ সহযোগে জমজমাট প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। দুপুরে মির্জাপুরে স্থানীয় মানুষ তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন। তারকা রাজনীতিবিদের কাছে ‘একটু বসে যাওয়ার’ আব্দার শুনে নেমে পড়েন রচনা। সেখানে তিনি মন্দিরে পুজো দেন। এদিন ধনেখালির মাজিনান ও ভাস্তারায় প্রচার করেন সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ। বলাগড় থেকে চুঁচুড়া, সর্বত্র ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য সরকারের সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, অভিযোগ না করে ইডিকে বলুন, তদন্ত করতে।