বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বরানগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজীব নগরের বাসিন্দাদের দুর্দশার অন্ত নেই। বস্তি এলাকায় প্রবল ঝড়ে ঘরের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। তারপর আবার, ঘরের মেঝেতে জল থইথই করছে। এই এলাকার অন্তত ২০টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। এখনও পুরসভা থেকে ত্রিপল আসেনি। রবিবার পর্যন্ত প্রতিটি ঘরেই হাঁটুসমান জল ছিল, যদিও সোমবার তা একটু নেমেছে। এক মহিলা বলেন, ছেলেমেয়েদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছি, যে কোনও সময় সাপ কামড়াতে পারে। ছোট নাতিকে নিয়ে রাতে দূরে এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকছি। আরেক নাতির সব বইপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আরেক বাসিন্দা বলেন, খাটের উপর এখন সংসার চলছে। খাবার জলও পাচ্ছি না। বরানগরের শুধু ১৮ নম্বর নয়, ১, ২, ১৫ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও একই চিত্র।
কামারহাটি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্লনগরে হাঁটুসমান জল এখনও। ৮, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনগুলি আবর্জনায় বন্ধ থাকায় জল নামছে না। নোংরা জল ঠেলেই বাসিন্দারা নিত্য যাতায়াত করছেন। তার উপর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে। বি টি রোডে কামারহাটি মোড় থেকে রথতলা পর্যন্ত নিকাশি নালা আবর্জনায় ভর্তি, ফলে বি টি রোডের একাংশে এখনও জল দাঁড়িয়ে।
পানিহাটির এইচ বি টাউন, ঘোলা এলাকায় পাঁচদিন পরেও চিত্রটা বদল হয়নি। এই এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে পড়ে। উম-পুনের অতি বর্ষণে এখনও বাসিন্দাদের জলযন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাসিন্দারা বলেন, নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প হাই ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু, সেই কাজ চলছে শম্বুক গতিতে। অন্যদিকে, পুরনো নিকাশি ব্যবস্থা অবরুদ্ধ। বৃষ্টি থামলেও জল নামতে সাতদিন বা তার বেশি সময় লাগে। পানিহাটি পুরসভার কর্তারা জানান, কর্মীরা কাজ করছেন, দ্রুত জল নেমে যাবে।