বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১০১, ১০২, ১০৭, ১০৮ এবং ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কেইআইপি’র এক কর্তা জানিয়েছেন, জলের অপচয় কত হচ্ছে, সেটাই শুধু দেখা এই সমীক্ষার বিষয় নয়। ওয়ার্ডগুলির প্রতিটি ঘরে জল সমান পরিমাণে সরবরাহ হচ্ছে কি না, চাপ কম না বেশি, সেগুলিও দেখে নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, এই পাঁচটি ওয়ার্ডে জনসংখ্যার হার আশপাশের ওয়ার্ডের তুলনায় বেশি। সেকারণেই এই ওয়ার্ডগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য ওয়ার্ডের কথা চিন্তাভাবনা করা হতে পারে। জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, আগে কলকাতার ১ নম্বর বরোর অধীনে ছ’টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ৬) বাড়িতে বাড়িতে মিটার বসানো হয়েছে।
মিটারের সাহায্যে জল কতটা সরবরাহ হচ্ছে, কতট অপচয় হচ্ছে, জলের চাপ- প্রতিটি বিষয়ই নিখুঁতভাবে জানা যাচ্ছে। এই সমীক্ষা শেষ হলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে আসবে, তাতে আমাদের সুবিধা হবে।কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে এই সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করছেন। কত জল ব্যবহার করেন, আবাসন বা বাড়ির ছাদের উপরে এবং ভূগর্ভস্থ থাকা জলাধারটির ক্ষমতা কত, জল উপচে পড়ে কি না, বাড়িতে কতজন বাসিন্দা রয়েছেন, ভাড়াটিয়া নাকি বাড়িওয়ালা, কতগুলি বাথরুম, কার নামে ট্যাক্সের কাগজ সহ একাধিক তথ্য ওই কর্মীরা এসে জিজ্ঞাসা করছেন। যে বাড়িতে সমীক্ষা হয়ে যাচ্ছে, সেখানকার দেওয়ালে স্টিকার সাঁটিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
জল সরবরাহ কর্তাদের কথায়, সকালে ও বিকেলে শহরের বড় বড় আবাসন হোক এবং বাড়িগুলিতে কলকাতা পুরসভার জল এলে ভূগর্ভস্থ জলাধার ভরে উপচে পড়ে। শহরের বহু এলাকাতেই এই দৃশ্য অতি পরিচিত। যার জেরে বিপুল পরিমাণ জল অপচয় হয়। অথচ, পুর প্রশাসনের তরফে জলের সংযোগ দেওয়ার সময়ই বলে দেওয়া হয়, ছাদের উপরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক এবং ভূগর্ভস্থ জলাধার, দু’টিতেই ‘বলকক’ লাগাতে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, শহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাড়ি বা আবাসনে তা লাগানো হয়নি। কলকাতা পুরসভার অধীনে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের বসবাস এবং এর জন্য মাথাপিছু প্রতিদিন ১৫০ লিটার জল ধার্য করা হয়েছে। তাতে প্রতি মাসে জলের প্রয়োজন হয় ২৫০ মিলিয়ন গ্যালন জল। বর্তমানে কলকাতা পুরসভার জল উৎপাদনের ক্ষমতা ৪০০ মিলিয়ন গ্যালন। অর্থাৎ প্রায় ১৫০ মিলিয়ন গ্যালন জল অপচয় হচ্ছে।