একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এই দুর্ভোগের ছবি মঙ্গলবার দেখা গেল টালা চক্র রেল স্টেশনে। টালা রেল স্টেশনের সামনে রেল ইয়ার্ড। দূরপাল্লার ট্রেনের একাধিক রেক দিনের একটা বড় সময় এখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে রেল লাইন পার হয়ে যাতায়াত করা খুবই কঠিন। এরকম একটি ট্রেনের রেকের তলা দিয়ে লাইন পার হয়ে বিপজ্জনকভাবে টালা স্টেশনের দিকে আসছিলেন বেলগাছিয়ার বাসিন্দা কয়েকজন মহিলা। সঙ্গে ছিল শিশুরা। এভাবে আসতে দেখে রে রে করে উঠলেন কয়েকজন রেলকর্মী। কিন্তু ওই মহিলাদের সাফ জবাব টালা ব্রিজ দিয়ে তো আর যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তাই তো এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। টালা স্টেশনের রেলকর্মীরা জানালেন, এভাবে ট্রেনের কামরার তলা দিয়ে রেল লাইন পার হয়ে অনেকে চলে আসছেন। বারণ করেও আটকানো যাচ্ছে না। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কারণ দাঁড়িয়ে থাকা রেকগুলিকে মাঝে মাঝে ইঞ্জিন লাগিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তরুণ সাহা স্বীকার করছেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে বাসিন্দারা অনেকেই এভাবে লাইন পার হয়ে যাচ্ছেন। রেল লাইন পার করার একটা নিরাপদ ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের মাধ্যমে রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রথমে রেল লাইনের ওপর একটি ওভারব্রিজ করার কথা ভাবা হয়েছিল। টালা স্টেশনে প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য যে ওভারব্রিজটি আছে সেটিকে পাইকপাড়া দিকে নিয়ে গেলে সমস্যা মিটে যেত। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে এটা করা সম্ভব নয়। তাই রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে, অন্তত দাঁড়িয়ে থাকা রেকের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রেখে লাইন পার হয়ে নিরাপদে যাতায়াত করার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা পার্থ বিশ্বাস জানিয়েছেন, হেঁটে লাইন পারাপারের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে টালা ব্রিজের দুই প্রান্তে বসবাসকারী বহু মানুষের উপকার হবে। তাঁরা লাইন পার হয়ে খুব তাড়াতাড়ি শ্যামবাজার বা চিড়িয়ামোড়ের দিকে চলে যেতে পারবেন। এখন হেঁটে গেলেও অনেক ঘুরে যেতে হচ্ছে। তাতে দুই দিকে যেতে আধঘন্টার বেশি সময় লাগছে।
টালার বনমালি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা শুভজিৎ পাল মনে করেন, রেল লাইন পার করার নিরাপদ ব্যবস্থা হলে তা পাইকপাড়ার দিকের বাসিন্দাদের বেশি সুবিধা হবে। তাঁদের মতো ব্রিজের অন্য প্রান্তের বাসিন্দাদের যাতায়াতের আরও সুবিধা হতো, যদি বাস চালানোর রুটের কিছুটা পরিবর্তন করা হতো। সেই সুযোগ থাকলেও কিছু করা হয়নি। ফলে শ্যামবাজার বা চিড়িয়ামোড়ের দিকে যেতে তাঁদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।