বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার পোলবার ভয়াবহ পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল শ্যাওড়াফুলির খুদে পড়ুয়া অমরজিৎ। ঋষভ ও দীপ্তাংশুর সঙ্গে তাকেও কলকাতা পাঠাতে হবে বলে একসময় ভেবেও নিয়েছিলেন চুঁচুড়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ায় তাকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার অনেকটাই সুস্থ অমরজিৎ। যদিও এখনও তাকে সিসিইউতেই রাখা হয়েছে। শনিবার তাকে ভাত দেওয়া হয়েছিল। রবিবার দুপুরেও ভাত খেয়েছে খুদে পড়ুয়া। আর খেয়েছে চকলেটও। শারীরিক সুস্থতা থাকলেও মাঝেমধ্যেই কেঁদে উঠছে সে। আর ভয়ও পাচ্ছে প্রবল। শনিবার থেকেই দফায় দফায় বাড়ির লোকজনদের কাছে জানতে চেয়েছে বন্ধুরা কোথায়? তারা কেমন আছে?
রবিবার বিকেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাবা প্রসেনজিৎ সাহা ও ঠাকুমা গায়ত্রী সাহা। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, ছেলে অনেক ভালো আছে। কথা বলছে, খাচ্ছে। আজ চকলেট দিয়েছিলাম। কিন্তু বার বার কেঁদে উঠছে। সেদিনের আতঙ্ক এখনও ওকে তাড়া করছে। বন্ধুদের কথা জিজ্ঞাসা করছে ঘুরে ফিরেই। কী যে বলি, ভাবতে পারছি না। অভিশপ্ত পুলকার প্রসঙ্গে পেশায় ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎবাবু বলেন, আবারও গাড়ি করে পাঠাব কি না, ভাবতে হবে। প্রয়োজন হলে অন্য কোনও ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পড়াশোনা তো আর ছাড়িয়ে দিতে পারি না। পরিবারের মতোই হাসপাতালে পাশে থেকেছেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার সমীর সরকার। তিনি বলেন, এখনও ভয় পাচ্ছে বাচ্চাটা।
তীব্র না হলেও ঘটনার আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি অরিণের। শ্রীরামপুরের বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুমন মুখোপাধ্যায়ের শিশু সন্তানও সেদিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারে ছিল। সে মাঝের আসনে আরও কয়েকজনের মাঝে বসেছিল। বরাতজোরে সামান্যই আঘাত পেয়েছিল অরিণ। বর্তমানে সে বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে আছে। কিন্তু এখনই তাকে স্কুলে পাঠানোর কথা ভাবছে না পরিবার। কারণ বাচ্চাটি এখনও আতঙ্কে রয়েছে। তাকে নানাভাবে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই সে শিউরে উঠছে। সারাক্ষণ তাকে নজরে রাখছে পরিবারের কেউ না কেউ। অরিণের বাবা সুমনবাবু বলেন, ভয় পাচ্ছে। মাঝেমাঝেই সেদিনের কথা বলছে। কিন্তু আমরাই নানাভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছি। আর প্রার্থনা করছি যেন ও সব ভুলে যায়। বাকি তিনজনও ভালো হয়ে উঠুক, একজন বাবা হিসেবে এটাই চাইব।