বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার তৈরি হাসপাতাল কালীবাড়ি বাজারে ব্যবসায়ীদের বসার জন্য প্রতিদিন পাঁচ টাকা ফিজ দিতে হতো। বর্তমানে ওই ফিজ কমিয়ে ২ টাকা করা হয়েছে। নেতাজি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বসার জন্য আগে প্রত্যেক দিন ফিজ দিতে হতো ৫ টাকা। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩টাকা। পরিতোষ নাথ হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বসার জন্য প্রতিদিন ফিজ ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে তা সম্পূর্ণভাবে মুকুব করে দেওয়া হয়েছে। এই তিনটি বাজারে ব্যবসায়ীদের পারিবারিক দানপত্র সূত্রে নাম পত্তনের জন্য আগে ১০ হাজার টাকা ফিজ দিতে হতো। এখন নাম পত্তনের জন্য কোনও টাকা লাগবে না। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিদিনের ফিজ ছিল ৭ টাকা ও ৫ টাকা। বর্তমানে তা কমিয়ে ৩ টাকা ও ২ টাকা করা হয়েছে। দোকান ঘরের নাম পত্তনের জন্য আগে ফিজ ছিল ৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা কমিয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। চট পেতে যারা ব্যবসা করেন সেই জায়গায় নাম পত্তনের জন্য আগে ফিজ ছিল ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা কমিয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। এমনকী ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সমস্ত ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত ফিজ অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা এলাকার ব্যাটারিচালিত ভ্যান রিকশর বাৎসরিক নবীকরণের ফিজ কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। ই রিকশ নবীকরণের বাৎসরিক ফিজ ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে।
সম্পত্তি করের ক্ষেত্রেও বিপুল ছাড় দেওয়া হয়েছে। দানপত্র বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির মিউটেশন চার্জ মকুব করা হয়েছে। নতুন অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ ট্যাক্স, ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ও ২০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে ৩০শতাংশ ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। রেসিডেনশিয়াল মিউটেশন চার্জ সর্বোচ্চ ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। কর্মাশিয়াল মিউটেশন চার্জ সর্বোচ্চ ১.২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। কমার্শিয়াল বিল্ডিং প্ল্যানের ক্ষেত্রে আগে প্রতি বর্গফুটে নেওয়া হতো ১০ টাকা। এখন তা ৫ টাকা করা হয়েছে। রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডং প্ল্যানের ক্ষেত্রে এক হাজার বর্গফুট পর্যন্ত প্রতি বর্গফুটে আগে নেওয়া হতো ২ টাকা। এখন কমিয়ে ১ টাকা করা হয়েছে। এক হাজার বর্গফুটের বেশি হলে প্রত্যেক বর্গফুটে আগে নেওয়া হতো সাড়ে ৩টাকা। বর্তমানে তা কমিয়ে ২ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া বনগাঁ পৌরসভা পরিচালিত সুইমিং পুল, মাল্টিজিম সেন্টার ও ব্যাডিমিন্টন কোর্টে মহিলাদের প্রশিক্ষণের ফিজ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ বছরের নিচে শিশুদেরও কোনও টাকা দিতে হবে না। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও একাধিক সুখবর দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার নিজস্ব রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে ব্লাডের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্সরে, ইসিজি, ইউএসজি করার জন্য ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও টাকা লাগবে না। এছাড়া রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যেকোনও রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া হবে। বাড়ি থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত কোনও ফিজ দিতে হবে না।
এই বিষয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, পাঁচ বছর ধরে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের রক্ত চোষা হয়েছে। ভোটের মুখে মানুষকে লোভ দেখিয়ে গদি ধরে রাখা যাবে না। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য বলেন,গণতন্ত্রে ভগবান হলেন জনতা। তাঁদের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো আমাদের কাজ। বিরোধীরা মানুষের ভালো চায় না।