নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় সত্তর বছর ধরে বসবাস। রয়েছে ৪০০-৪৫০ পরিবার। সব মিলিয়ে লোকসংখ্যা প্রায় ২২০০। যে জমিতে তাঁরা রয়েছেন, সেটি আগে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের (কেআইটি) অধীনে ছিল। পরে তা ত্রাণ এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরের অধীনে যায়। সেই জমিতে বসবাসকারীদের পাট্টা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পাট্টা পাওয়া জমিতে কীভাবে বাড়ি তৈরি করবেন, তা নিয়ে রীতিমতো ঝামেলা শুরু হয়েছে ৮৬ নং ওয়ার্ডের ৩ নম্বর লেক হসপিটাল ক্যাম্প এলাকায়। কেয়াতলা রোডের এই ঠিকানায় তিনটি ব্লক রয়েছে—‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’। ‘এ’ ব্লকে রয়েছে ৩৭টি প্লট, ‘বি’ ব্লকে ৮৮টি প্লট এবং ‘সি’ ব্লকে রয়েছে ৫৯টি প্লট। এখানকার বাসিন্দাদের পাট্টা দিতে মঙ্গলবার ত্রাণ এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মীরা প্লটগুলিতে মাপজোকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার মানুষের একাংশের ঝামেলার জন্য কাজ বাকি রেখেই ফিরতে হয় তাঁদের। বুধবারও তাঁরা গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু এদিনও সেখানে দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলায় চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, নিয়ম অনুযায়ী, একজন মালিক পাঁচ কাঠার বেশি জমির পাট্টা পাবেন না। কিন্তু সেখানে অনেকে রয়েছেন, যাঁদের সাত কাঠা থেকে ১২-১৩ কাঠা জমি রয়েছে। আবার অনেকের জমে এতটাই কম যে, সেখানে দু’টি ঘর তৈরি করা তো দূরের কথা, একটি ঘরও বানানো যাবে না। এমন জমির পাট্টা নিয়ে কী হবে! তাঁরা সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিষয়টি জানানোর পর পাল্টা তাঁদের বলা হয়েছে, যদি ঘর তৈরি করতে না চান, তাহলে পাট্টা নিয়ে বিক্রি করে চলে যান। কেউ দেখতেও আসবে না। এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের।