বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে বেলুড়ের তারাচাঁদ গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি বহুতলের দোতলার কার্নিশে। এতে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় এলাকায়। উদ্ধারের জন্য দমকল ও পুলিসের কর্মীরা যতক্ষণ না আসছেন, ততক্ষণ বৃদ্ধার হাত ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কখনও তাঁর বাড়ির লোক, কখনও উৎসাহে ছুটে আসা মানুষকে। কারণ, সেখান থেকে বৃদ্ধাকে বারান্দায় তুলে আনাও যেমন সম্ভব ছিল না, তেমনই সিঁড়ি লাগিয়ে ওই বৃদ্ধাকে নীচে নামানোও কার্যত অসম্ভব ছিল। পুলিস ও দমকলে খবর যায়। কিছু সময়ের মধ্যে মই নিয়ে এসে পড়েন দমকলের কর্মীরা। তাঁরা বৃদ্ধার কোমরে দড়ি পরিয়ে বারান্দার গ্রিল খুলে উদ্ধার করেন তাঁকে।
চেয়ারে বসে রোদ পোহানোর সময় কীভাবে কালিয়াদেবী তালাচাবি ঝোলানো গ্রিল খুলে কার্নিশে নেমে গেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। পুলিসে কোনও অভিযোগ না হওয়ায় তারা আর তেমন কোনও খোঁজখবর করেনি। কিন্তু, বৃদ্ধার আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় যে বাসিন্দা প্রথম ছুটে এসে বারান্দা থেকে কালিয়াদেবীর হাত ধরেন, তাঁর নাম নীরজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে উনি বলছিলেন যে উনি ভালো নেই। আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তা ছিল কি না, বলতে পারছি না।
কালিয়াদেবীর ছেলে, পেশায় রেলের কর্মী মুকেশ শর্মা বলেন, সকালে আমি বাজারে গিয়েছিলাম। যেদিক দিয়ে এই ঘটনা দেখা যেতে পারত, বাজার করে সেদিক দিয়ে বাড়ি ঢুকিনি। অন্য দিক দিয়ে ঢোকায় চোখেও পড়েনি এমন ঘটনা। যখন কয়েকজন বাইরের লোক বারান্দা দিয়ে ছুটে গিয়ে হাত বাড়িয়ে মাকে ধরল, তখন জানতে পারলাম। বারান্দার যে গ্রিল দিয়ে কালিয়াদেবী বেরিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেটিও বেশ ছোট জায়গা। এদিন ঘটনার পর জানালার পাল্লার মতো গ্রিলের অংশ তালাচাবি বন্ধ করা হলেও ঘটনার সময় তা খোলাই ছিল। কিন্তু, অসুস্থ শরীরে চেয়ারের উপর উঠে ওই সামান্য ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে কার্নিশের উপর কীভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হল, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে।
মুকেশ আরও বলেন, রাস্তার দিকের লোকজন দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাতটা ধরেছিল বলে শেষরক্ষা হয়েছে। আমরা তো টেরই পাইনি। তবে যেভাবে রক্ষা পেয়েছেন কালিয়াদেবী, তা নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।