নিজের ভোট প্রচারের গাড়ি থেকে উত্তরপাড়ার দলীয় বিধায়ককে ‘নামিয়ে’ দিলেন শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারকা অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চণ মল্লিককে লোকসভার বিদায়ী সাংসদ কল্যাণবাবু সরাসরিই বলেন, তুমি আমার প্রচারে থেকো না।
অবশেষে শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ শাখার লক্ষ লক্ষ নিত্যযাত্রীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। ৯ বগির বদলে সংশ্লিষ্ট শাখায় ১২ কোচের ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ।
তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থান নামখানার চন্দনপিঁড়িতে আজ উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। অথচ এক সময় এই এলাকা ছিল বামেদের দখলে। দীর্ঘ প্রায় ৫৮ বছর এই অঞ্চলে উড়েছে লালপতাকা। ২০০৮ সালে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চন্দনপিঁড়ির ২১৭ নম্বর বুথ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস।
চেহারা বেশ বড়সড়। বাঘের চোখ যেরকম হয় সেরকম হাড় হিম করে দেওয়া। যাতায়াতের ধকলে একটু ক্লান্ত। তবে দু-একবার যা হুঙ্কার ছেড়েছিল তাতে পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়। আপাতত কলকাতার আবহাওয়ায় খানিকটা ধাতস্থ হওয়ার জন্য আলাদা রাখা হচ্ছে।
‘আমার সব চলে গেছে। স্বামীকে হারিয়েছি। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছি। আর কোথাও যাব না। মরলে এখানেই মরব।’ বৃহস্পতিবার আমতার চন্দ্রপুর ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বলছিলেন চন্দ্রপুরের দক্ষিণ হরিশপুরের বাসিন্দা ছবি রানি রায়।
ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের জন্য সুখবর। ইডেন ফেরত দর্শকদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশন স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা দেবে। আগামী ২৬ ও ২৯ এপ্রিল এবং ১১ জুন কলকাতা নাইট রাইডার্স ঘরের মাঠে খেলতে নামবে।
বাতাসে বইছে লু, প্রচারে বেড়েছে তাপ। ঠিকই, গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কলকাতা দক্ষিণের ভোটের উত্তাপও। বৃহস্পতিবার বেহালা পূর্ব ও বেহালা পশ্চিম বিধানসভায় তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের নিয়ে সভা করলেন কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়।
দেশের মাটিতে নিজের শিল্পকলা প্রদর্শন করে সুনাম কুড়িয়েছিলেন আমতার বাসিন্দা রবীন বর। এবার বিদেশের মাটিতে নিজের শিল্পকলায় রঙিন নববর্ষ পালন করলেন আমতার এই শিল্পী।
আজ থেকে ১০০ বছর আগে এরকম এক এপ্রিল মাসেই চীন সফরে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯২৪ সালের ১২ এপ্রিল সাংহাই থেকে সফর শুরু করেছিলেন কবিগুরু। ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চীন সফর করেন।
কথায় বলে স্ত্রীর ধন স্ত্রীধন। এই কথাতেই যেন সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিকতম এক রায়। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, স্ত্রীধনের উপর স্বামীর কোনও অধিকার নেই।
ইউক্রেনের এক বাসিন্দার আত্মহত্যার হুমকিকে ঘিরে বৃহস্পতিবার শোরগোল পড়ল ব্যান্ডেলে। ইউক্রেনীয় ওই যুবক মিখাইল দিমিত্রিভিচ এদিন ব্যান্ডেলে একটি পুকুরের ধারে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পুকুর থেকে সংগ্রহ করা একটি কাচের টুকরো দিয়ে গলায় বারবার আঘাত করতে থাকেন।
কলকাতার মানুষের শীতে ঠোঁট ফাটে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এপ্রিলের শেষ লগ্নেও ফাটছে ঠোঁট। এ আবার কেন ধারা গরম! বিস্মিত গোটা শহর।এই গরমের সঙ্গে অভ্যস্থ নয় শহরবাসী। রাস্তায় গায়ে যেন আগুনের ছেঁকা লাগছে। মুখ জ্বলছে, যেন লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়েছে কেউ।
বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের নাগরতলার ঝড়োর মোড়ে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পেল বারুইপুর জেলা পুলিস। গ্রিল কারখানার আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের বড় ও ছোট একনলা ও দোনলা বন্দুক, রিভলভার থেকে পাইপগান, কার্তুজ তৈরি হতো। এরপর বরাত পাওয়ার ভিত্তিতে তা ক্যানিং পূর্ব-র বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও বাসন্তী বিধানসভা, কুলতলি বিধানসভা এবং ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভাতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, পাইপগান ও সরঞ্জাম। আবুল কালাম মিস্ত্রি ও মোজ্জাফফর মিস্ত্রি নামে দু’জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতেরা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগত বলে এলাকায় পরিচিত। ঠিক দেড়মাস আগে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার খাসতালুক মৌখালিতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পেয়েছিল পুলিস। সেখান থেকেও তিনটে লম্বা পাইপগান, রিভলভার, কার্তুজ সহ প্রচুর সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় ধৃতেরাও ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের এক দাপুটে তৃণমূল যুব নেতার ঘনিষ্ঠ বলে পুলিস জানতে পারে।
শনিবার দুপুরে বারুইপুর পুলিস জেলা অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, এ নিয়ে গত দশ মাসে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। তিনি স্বীকার করেন, এখনও পর্যন্ত যতগুলি অস্ত্র কারখানা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার মধ্যে দু’টি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের জীবনতলা থানার মধ্যে। বাকি তিনটির মধ্যে কুলতলি, বাসন্তী ও ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এসওজি টিমের কাছে অনেকদিন ধরে ঝড়ো মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার খবর আসছিল। কিন্তু ঠিকমতো যাচাই না করে সেখানে হানা দেওয়ার ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে মোবাইল নেট ওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এসওজি জানতে পারে ঝড়োর মোড়ে গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। শাসকদলের একটি গোষ্ঠী তার বরাত দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হবে। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার গভীর রাতে জীবনতলা থানা ও এসওজি টিম বিশাল ফোর্স নিয়ে আবু কালাম মিস্ত্রির বাড়িতে হানা দেয়। আবুর বাড়ির ভিতরে লোহার গেট দিয়ে ঘেরা কারখানার মধ্যে পাওয়া যায় ১৭টি একনলা পাইপগান, ৯টি অসম্পূর্ণ ওয়ান শটার পাইপগান, কার্তুজ, দু’খানা লোহার রড, হ্যান্ডড্রিল মেশিন, পালিশ মেশিন, হ্যাক্সো, বড় ব্লেড ছাড়াও প্রচুর সরঞ্জাম। এছাড়া পাওয়া যায় দু’টি মোবাইল। পুলিস সুপার জানান, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কোথা থেকে আনা হতো, তার হদিশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আবু কালাম মিস্ত্রির গ্রিলের ব্যবসা অনেকদিন ধরে করছে। তার আড়ালে সে অস্ত্র তৈরির জন্য নিজের বাড়ির ভিতর কারখানা তৈরি করে। তাকে টাকার জোগান দিত নাগরতলার নলকারার নতুনপাড়ার বাসিন্দা মোজাফফর মিস্ত্রি। পুলিস সুপার বলেন, এ ধরনের বেআইনি কাজ যেখানে হবে, সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর জয়নগরে শাসকদলের এক স্থানীয় নেতা নৃশংসভাবে খুন হন। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ওই খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়। ওই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসেন্তাষ প্রকাশ করেন। সেই সময় মথুরাপুরে এক প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী জয়নগর, কুলতলি ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র বেআইনি অস্ত্র তৈরির ডেরা বলে উল্লেখ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে জোরকদমে চলছে তল্লাশি।
শনিবার দুপুরে বারুইপুর পুলিস জেলা অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, এ নিয়ে গত দশ মাসে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। তিনি স্বীকার করেন, এখনও পর্যন্ত যতগুলি অস্ত্র কারখানা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার মধ্যে দু’টি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের জীবনতলা থানার মধ্যে। বাকি তিনটির মধ্যে কুলতলি, বাসন্তী ও ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এসওজি টিমের কাছে অনেকদিন ধরে ঝড়ো মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার খবর আসছিল। কিন্তু ঠিকমতো যাচাই না করে সেখানে হানা দেওয়ার ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে মোবাইল নেট ওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এসওজি জানতে পারে ঝড়োর মোড়ে গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। শাসকদলের একটি গোষ্ঠী তার বরাত দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হবে। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার গভীর রাতে জীবনতলা থানা ও এসওজি টিম বিশাল ফোর্স নিয়ে আবু কালাম মিস্ত্রির বাড়িতে হানা দেয়। আবুর বাড়ির ভিতরে লোহার গেট দিয়ে ঘেরা কারখানার মধ্যে পাওয়া যায় ১৭টি একনলা পাইপগান, ৯টি অসম্পূর্ণ ওয়ান শটার পাইপগান, কার্তুজ, দু’খানা লোহার রড, হ্যান্ডড্রিল মেশিন, পালিশ মেশিন, হ্যাক্সো, বড় ব্লেড ছাড়াও প্রচুর সরঞ্জাম। এছাড়া পাওয়া যায় দু’টি মোবাইল। পুলিস সুপার জানান, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কোথা থেকে আনা হতো, তার হদিশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আবু কালাম মিস্ত্রির গ্রিলের ব্যবসা অনেকদিন ধরে করছে। তার আড়ালে সে অস্ত্র তৈরির জন্য নিজের বাড়ির ভিতর কারখানা তৈরি করে। তাকে টাকার জোগান দিত নাগরতলার নলকারার নতুনপাড়ার বাসিন্দা মোজাফফর মিস্ত্রি। পুলিস সুপার বলেন, এ ধরনের বেআইনি কাজ যেখানে হবে, সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর জয়নগরে শাসকদলের এক স্থানীয় নেতা নৃশংসভাবে খুন হন। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ওই খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়। ওই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসেন্তাষ প্রকাশ করেন। সেই সময় মথুরাপুরে এক প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী জয়নগর, কুলতলি ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র বেআইনি অস্ত্র তৈরির ডেরা বলে উল্লেখ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে জোরকদমে চলছে তল্লাশি।
