একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে, ডেঙ্গুতে কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটের বাসিন্দা রোহিত কুমারের মৃত্যুকে ঘিরে পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার দুপুরে আলমবাজারের এক নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু শক সিনড্রম ছাড়াও একাধিক রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিতের ভাই রিকি সিং সোমবার সন্ধ্যায় ফোনে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর থেকে দাদা জ্বরে আক্রান্ত ছিল। ২৮ নভেম্বর দাদাকে আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও প্লেটলেট খুব একটা কম ছিল না। কিন্তু সেখানে চিকিৎসায় একাধিক গাফিলতি ছিল। জ্বর এবং অন্যান্য যে রোগ হয়েছিল, তার চিকিৎসা না করে গ্যাসের চিকিৎসা করা হয়েছে। দিনের পর দিন গ্যাসের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। ফলে পেটের ভিতরে জল জমতে শুরু করে। যখনই পেটে ব্যথা হয়েছে, তখনই বলা হয়েছে, গ্যাসের সমস্যা। এদিকে, প্লেটলেট কমতে থাকে। প্রতিদিনই আমাদের ১৪-১৫ প্যাকেট প্লেটলেট আনতে বলা হতো। ৬ ডিসেম্বর দাদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ৭ ডিসেম্বর ওই হাসপাতাল থেকে আলমবাজারের নার্সিংহোমে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। ততক্ষণে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাঁর কথায়, দাদার শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি বিকল হয়ে গিয়েছিল। কিডনিও নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার সকালে মৃত্যু হয়। মৃতের পরিজনদের কাছে জানা গেল, রোহিত ওই পরিবারের ছোট ছেলে। বড় ভাই শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম। রোহিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি পড়ছিলেন। সোমবার রাতে মরদেহ নিয়ে তাঁর পরিজনরা বিহারের গয়ায় গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান।