কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
শান্তনু বলে, এদিন পরীক্ষাও খুব ভালো হয়েছে। বাড়ি ফিরে আরও ভালোভাবে অন্য বিষয় পড়ব পরিকল্পনা করেই ফিরছিলাম। এখানে এভাবে আগুন লেগেছে তা আমি কিছুই জানি না। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় চারিদিকে লোকজনের কথাবার্তা শুনে আমার সন্দেহ হচ্ছিল। কারণ, রাস্তাঘাটে সকলে আগুন লেগেছে বলাবলি করছিল। কিন্তু, এভাবে আমাদের পাড়াটি আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এখনও জানি না, আমার সব বইপত্র ঠিক আছে কি না। শান্তনু অশোকগড় আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাত্র। বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনে তার পরীক্ষা কেন্দ্র। আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগেই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
এদিন আগুন লাগার খবর পেয়ে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, বারাকপুর মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। স্কুলের পোশাক পড়েই শান্তনু নিজের বইপত্র খুঁজে পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে জেলাশাসক তার কাছে যান। তিনি বলেন, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হও। বইপত্র নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। খাওয়া, থাকার ও পড়াশুনা করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই এলাকায় যে বা যারা এই দুর্ঘটনার কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেনি, তারা যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে তার জন্য শিক্ষা দপ্তরে বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। বিধায়ক তাপস রায় বলেন, এখনও পর্যন্ত একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আমরা হদিশ পেয়েছি। তার থাকার, পড়াশুনা করার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ওই বস্তির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা হবে না।
শান্তনুর দিদি প্রিয়া রাজবংশী বলেন, এদিন ভাই পরীক্ষা দিতে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আমরা হাতের সামনে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। ভাই পরীক্ষা দিচ্ছে বলে আমরা কিছুই জানাইনি। ভাইয়ের অনেক বইপত্র পুড়ে গিয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলি ও কী করে দেবে তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।