কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
একদিন আগেই রাজস্থানের সীমান্ত শহর বিকানিরের একটি জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি কর্তাদের মুখোমুখি হন রবার্ট ওয়াধেরা ও তাঁর মা মউরিন। সকালে তাঁদের সঙ্গে জয়পুরের ইডি অফিস পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে লখনউয়ে আসেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচার কৌশল ঠিক করতে কেন্দ্রভিত্তিকভাবে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমেথি, রায়বেরিলি সহ ১২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক জেলা সভাপতি ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রায় ১৬ ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র এবং প্রয়োজনীয় রদবদলের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিখছি। কীভাবে নির্বাচনে লড়া যেতে পারে, তা নিয়েও নানান মতামত সম্পর্কে জানছি।’ এর আগে, গত ১৫ বছর ধরে মা সোনিয়া গান্ধী এবং দাদা রাহুল গান্ধীর হয়ে রায়বেরিলি ও আমেথিতে দলীয় প্রচারের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর কাঁধে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বভার সঁপেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪১টি আসনের দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাণসী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর আসনও রয়েছে এই তালিকায়। এই কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি লখনউ, উন্নাও, মোহনলগঞ্জ, সুলতানপুর, প্রতাপগড়, বরাবাঁকি, ফুলপুর, এলাহাবাদ, কৌশাম্বী ও ফতেপুরের জেলা সভাপতি ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রিয়াঙ্কা।
দলীয় সূত্রে খবর, ১২টি কেন্দ্রের প্রতিটি থেকে বাছাই করা ১০-২০ জনের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁদের থেকে এলাকাভিত্তিকভাবে সংগঠনের খোঁজ নেন তিনি। প্রতিটি কেন্দ্রে একদিন করে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। লখনউয়ে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে প্রিয়াঙ্কার পাশের ঘরেই নিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকসভা কেন্দ্রগুলির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৩৯টি লোকসভা আসনের দায়িত্বভার রয়েছে জ্যোতিরাদিত্যর হাতে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটে পর্যন্ত সেই সমস্ত কেন্দ্রের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।