কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চলতি মাসের ২২তারিখ জেলায় জেলায় মাটি উৎসব হবে। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী হুগলিতে মাটি উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এরপর জেলায় জেলায় সম্মানীয় কৃষকদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা কৃষকসম্মান সার্টিফিকেট ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পরীক্ষা চলায় সাউন্ড বক্স ও মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই মেলা সংক্ষিপ্ত সময়ে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বাকি পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য কৃষি দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর অব এগ্রিকালচার (পিআর, পি অ্যান্ড আই) জেলার কৃষি আধিকারিকদের কাছে একটি ই মেল পাঠান। তাতে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আপনাদের জানানো হচ্ছে, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক জেলায় মাটি উৎসব হবে। জেলার এই মাটি উৎসব থেকে নির্বাচিত কৃষকদের পুরস্কার দেওয়া হবে। অন্যান্য বছরের মতো জেলার সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্ট এই মেলায় অংশ নেবে। কৃষিমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে জেলার কোথায় মাটি উৎসব হবে, তার স্থান নির্বাচন করে জানাতে হবে। মাটি উৎসব পরিচালনার জন্য জেলাস্তরের কমিটি ও খরচের বিষয়টি অতি দ্রুত সবাইকে জানানো হবে। এই চিঠি আসার পর কৃষি দপ্তরে কার্যত সাজসাজ রব।
এদিন দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্য কৃষি দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। জেলার কৃষি আধিকারিকরা ওই কনফারেন্সে যোগ দেন। তাতে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই মেলায় কৃষি দপ্তরের পাশাপাশি পশুপালন, মৎস্যদপ্তর, উদ্যানপালন বিভাগের তরফে নির্বাচিত সেরা কৃষকদের কৃষকসম্মান পুরস্কার দেওয়া হবে। জেলার মন্ত্রী, জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের ওই মেলায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। মন্ত্রীর মাধ্যমে কৃষকসম্মান পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। কোনওভাবে মন্ত্রী উপস্থিত না থাকতে পারলে সভাধিপতিরা এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
প্রত্যেক জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে সরকারি উদ্যোগে ৫০০ কৃষককে মেলায় আনা হবে। এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগেও কৃষকরা মেলায় উপস্থিত হবেন। মেলায় কৃষি সংক্রান্ত আলোচনাসভাও হবে। তবে মেলায় বিভিন্ন দপ্তর নানা মডেল নিয়ে স্টলে উপস্থিত হবে কি না, সেই বিষয়ে এদিন কোনও আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের পানাগড়ে প্রথম মাটি উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, হস্তশিল্প, পর্যটন সহ বিভিন্ন দপ্তরের মডেল সহযোগে সুদৃশ্য স্টল ও নানা অনুষ্ঠান মেলার আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। মাটি উৎসব করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে পানাগড়ে মাটিতীর্থ নামে স্থায়ী উৎসব প্রাঙ্গণও করা হয়। পরবর্তীকালে সাতদিনের এই উৎসব পানাগড় থেকে বর্ধমানের সাধানপুরে সরিয়ে আনা হয়। প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসে হওয়া সাতদিনের এই মাটি উৎসব এবছর এখনও হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ধমান জেলায় এবার আর এই উৎসব হচ্ছে না। তার পরিবর্তে জেলায় জেলায় এই উৎসব করতে চলেছে রাজ্য সরকার।