কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
এরপর সাংবাদিকের কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, বাড়িতে প্রথম গেলে মিষ্টি, জল দেবে। ভোট মানে তো উৎসব। সেখানে চেঁচামেচি হবে, জোরে জোরে কথা বলবে, চিৎকার করবে, আনন্দে কান্নাকটি করবে। কোন বুথে বাতাসা, কোথায় দানাদার পাঠানো হবে তা ব্লক সভাপতি ঠিক করবেন। এদিন সম্মেলনে আসা মহিলাদের কাছে জানতে চান, বাড়ি করার জন্য কেউ টাকা নেয় কিনা?
সম্মেলন শেষে লোকসভা ভোটে ব্লক থেকে লিডের টার্গেট বেঁধে দিয়ে স্বভাবসিদ্ধ মেঠো ভাষায় বলে ওঠেন, এই লিড আমাকে দেবেন বলুন, না হলে দিব্যি দেব কিন্তু! বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উত্তপ্ত কথা প্রসঙ্গে বলেন, এসব বলে তিনি নিজের দলের কর্মীদের বেশি করে মার খাওয়াচ্ছেন।
বুথের কর্মীদের ভোটের পাঠ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আর মাত্র একমাস বাকি। বুথ সভাপতিদের বলছি, কমিটি করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মানুষের বাড়ি বাড়ি যান। দেখুন কে আপনাদের আসতে বলছে, কে চা দিচ্ছে, কারা বিরক্ত হচ্ছে। তাহলেই বুঝে যাবেন এলাকায় কত লিড হবে। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ তুলে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গত বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের গুড়বাতাসা খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রতবাবু। গুড়বাতাসার রঙ যে লাল তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। এদিনের কর্মী সম্মেলনে ব্লকের ছ’টি অঞ্চল সভাপতিদের মঞ্চে ডেকে বুথ সভাপতিদের সামনে কাজের হিসেব নেন। নেতাদের দেওয়া তথ্য ওই বুথের কর্মীদের কাছে যাচাই করেন। দমদমা অঞ্চলের একটি বুথের সভাপতি শেখ সামিরুল সেখানে ভোটের লিড কেন কম বলতে না পারায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। যেসমস্ত বুথের সভাপতিরা বেশি লিড দেওয়ার দাবি করেন তাঁদের ‘ভালো প্রাইজ দেব’ বলে ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি।
পুরন্দরপুরে অঞ্চলে দল তিনটি বুথে হেরে আছে শুনে অনুব্রতবাবু অঞ্চল সভাপতিকে বলেন, এখানে মিটিং, মিছিল, সভা হচ্ছে। আর এখানেই হেরে আছেন? অঞ্চল সভাপতি লোকসভায় সব বুথ থেকে লিড দেওয়ার কথা বললে অনুব্রতবাবু বিশ্বস্ত সহচরদের সেই দাবি লিখে রাখতে বলেন। ঘোষণা করেন, এর অন্যথা হলে পদ থেকে সরিয়ে দেব। এক অঞ্চল সভাপতিকে অনুব্রতবাবু প্রশ্ন করেন, ভোট চুরি করবেন? জেলা সভাপতিকে তুষ্ট করতে তিনি বলেন, চেষ্টা করব। পুরন্দরপুরের একটি বুথের সভাপতি তরুণ পাল দাবি করেন, বিরোধীদের শূন্য করে দেব। তখন জেলা সভাপতি সহাস্যে বলেন, শূন্য করলে যা চাইবে তাই দেব।
এদিন সম্মেলনে জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, দুই সহসভাপতি অভিজিৎ সিংহ ও মলয় মুখোপাধ্যায়, ব্লক সভাপতি নুরুল ইললাম উপস্থিত ছিলেন।