কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
মৌসম বলেন, রাতের অন্ধকারে মঞ্চ ভেঙে দিয়ে বিজেপি চেয়েছিল সভাটা বানচাল করতে। আমরা সেটা হতে দিইনি। আমরা মূল মঞ্চ ছেড়ে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সভা করেছি। এখানে কর্মী-সমর্থকদের প্রচুর উৎসাহ লক্ষ্য করেছি। আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূল এখানে ভালো ফল করবে। আমরা যেটা জানতে পেরেছি বিজেপির কিছু লোক মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। এনিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও মৌসম বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, দেশের প্রকৃত উন্নতি কিছু হয়নি। সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। ইতিহাস ওদের ক্ষমা করবে না। এজেলার মাটি গনিখানের। গনিখানের আদর্শ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চাইছে তাদের জেলার মানুষ প্রশ্রয় দেবে না। তারা উন্নয়নের স্বার্থে গনিখানের দেখানো পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই চলবে।
হবিবপুরের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রভাস চৌধুরী বলেন, দলে নবাগত সংসদ সদস্যকে সংবর্ধনা দিতে আমরা মঞ্চ বানিয়ে সভার আয়োজন করেছিলাম। রাতের অন্ধকারে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনী মঞ্চে ভাঙচুর করে দিয়েছে। মঞ্চের কাপড় কেটে দিয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়ে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। বিজেপি’র সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র অবশ্য বলেন, তৃণমূলের সাজানো ঘটনা। এ ধরনের রাজনীতি বিজেপি করে না। আমরা এ ধরনের নোংরা রাজনীতিতে হাত পাকাইনি। এটা ওদের সংস্কৃতি। এই ঘটনা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। হবিবপুরে তৃণমূলের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে। এসব করে লোকসভায় তৃণমূল আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আর ওরা যদি মনে করে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে দেওয়া যাবে তাহলে মানুষ ছেড়ে কথা বলব না। নির্বাচনে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। হবিবপুর থানার আইসি ত্রিদিব প্রামাণিক বলেন, মঞ্চ ভাঙা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ হয়েছে। আমরা এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।
এদিন হবিবপুর রাইস মিল মাঠে মৌসমকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য সভার আয়োজন করে দলের হবিবপুর নেতৃত্ব। এদিন বিকেল ৩টেয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সংসদ সদস্যকে সংবর্ধনা জানায় তৃণমূল। হবিবপুরের সংবর্ধনার পর বামনগোলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পাকুয়া ডিগ্রি কলেজ ময়দানে পৃথক একটি সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন এমপি। দু’টি সভাতেই কংগ্রেস ছেড়ে অনেকে মৌসমের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়েছেন।