কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
এই কাজের বরাত পাওয়া সংস্থা আলুওয়ালিয়া কনস্ট্রাকশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের মতো ১০টি বইমেলা মিলনমেলার মধ্যে ঢুকে যাবে। তবে বইমেলার উদ্যোক্তারা কি মিলনমেলায় ফিরে আসতে চাইবেন? তাঁরা তো সল্টলেকের মেলায় বিক্রিবাটায় বেশ সন্তুষ্ট। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের অধিকর্তা সুধাংশু দে জানিয়েছেন, মিলনমেলায় ফিরে আসার ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। মিলনমেলা সংস্কারের কাজের জন্য ২০১৮ সালের বইমেলাকে সল্টলেকে নিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধাবয়ই তাঁদের বলেছিলেন।
মিলনমেলাকে নতুন করে গড়ে তোলা মু্খ্যমন্ত্রীর অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প। সরকারি সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন মিলনমেলা পরিচালনার দায়িত্বে আছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রায় সাড়ে চারশো কর্মী দিন-রাত কাজ করছেন ২২ একর এলাকা জুড়ে। পে-লোডার, ক্রেন সহ নানা ধরনের বড় বড় যন্ত্র আনা হয়েছে। নির্মাণ কাজের অগ্রগতির উপর সব সময় নজর রাখতে মেলা প্রাঙ্গণেই বরাত পাওয়া সংস্থার অস্থায়ী অফিস চলছে। পাশাপাশি কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্যালট্যান্ট সংস্থাকেও নিযুক্ত করা হয়েছে। ওই সংস্থার টিম লিডার বাসব মুখোপাধ্যায় জানালেন, মিলনমেলার অন্যতম আকর্ষণ হবে এখানকার ‘ক্লক টাওয়ার’। প্রায় ৭০ মিটার উচ্চতার এই টাওয়ারটি ঝকমকে এলইডি আলোয় সাজবে। টাওয়ারের ৬০ মিটার উচ্চতায় থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা গ্লোব’। বিশ্ব বাংলার লোগো সহ এই গ্লোবটি ঘুরবে। গ্লোবের স্ক্রিনে ফুটে উঠবে রাজ্যের উন্নয়নের চিত্র। টাওয়ারের নীচে থাকবে একটি মিউজিয়াম। যেখানে রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্যের ইতিহাস তুলে ধরা হবে।
প্যাভিলিয়ন দু’টি তৈরি করা হবে বিদেশ থেকে আমদানি করা ‘টেনসিল ফেব্রিক শিট’ দিয়ে। প্যাভিলিয়ন দেখতে হবে প্যাগোডার মতো। দু’টি প্যাভিলিয়নের মাঝে থাকছে তিন তলার প্রশাসনিক ব্লক। এটির আয়তন হবে প্রায় ৩৫ হাজার বর্গফুট। এখানে অডিটোরিয়াম থাকছে। দর্শক ও অন্যান্য অতিথিদের গাড়ির পার্কিংয়ের জন্য বহুতল পার্কিং প্লেস হচ্ছে। প্রায় ১৪০০ গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা থাকছে এখানে। দর্শকদের খাবার পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য তিনটি ফুড পার্ক করা হচ্ছে। ক্লক টাওয়ার ও প্যাভিলিয়নের মধ্যের অংশে গাছপালা, ফোয়ারা প্রভৃতি দিয়ে সৌন্দর্যায়ন হবে।
মিলনমেলার বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য ঝুলন্ত সোলার প্যানেল বসানো হবে। তবে এর পাশপাশি সাধারণ বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাও রাখা হবে। বিশেষ ট্রান্সফরমার থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে। দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে গেট থাকবে মেলায় ঢোকার জন্য। মেট্রো স্টেশনের মতো টিকিট পাঞ্চ করে ঢোকার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে এখানে।