কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
যদিও ডালুবাবুর দাবি, পরিস্থিতি মোটেই জটিল নয়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে লোকসভা ভোটকে বিচার করা যাবে না। লোকসভা ভোট কোনও স্থানীয় ইস্যুতে হবে না। সেখানে দেশগড়ার প্রশ্ন থাকবে। এখানে বিজেপিই কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী। মালদহের মানুষ জানে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে। আমি শুধু সাংগঠনিক পরিস্থিতি যাচাই করতে বৈঠক করছি। সেই সঙ্গে লোকসভার জন্যে প্রস্তুত হওয়ারও বিষয় আছে। জেলায় কংগ্রেসের ভোটব্যাংক আমাদের সঙ্গেই ছিল, আছে এবং থাকবে। মানুষ এখানে বরকতদার নামে আর হাত চিহ্ন দেখে ভোট দেন। অন্য কেউ এখানে সুবিধা করতে পারবে না।
দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রটি মালদহের পাঁচটি ও মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নিয়ে গঠিত। এখানে দীর্ঘবছর ধরে কংগ্রেসের একটি ভোট ব্যাঙ্ক আছে। কিন্তু গত কয়েকবছর থেকে জেলার সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। সমীকরণ সবচেয়ে বেশি বদলেছে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের গড় পরিচিত কালিয়াচকে কংগ্রেস নিজের অস্তিত্ব খুইয়েছে। পাঁচটি ব্লকের একটিও পঞ্চায়েত সমিতি তারা দখল করতে পারেনি। পায়নি একটি জেলা পরিষদ আসনও। সামান্য কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড তারা দখল করতে পেরেছে। এখানে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। অনেকটা দূরত্ব রেখে দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দক্ষিণ মালদহের মালদহের ভেতরে থাকা পাঁচটি বিধানসভার মাত্র দু’জন বিধায়ক এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোট করার জন্যে নিচুতলার কর্মী এবং নেতৃত্বকে পাওয়াই কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে।
মুখে অস্বীকার করলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব জানে, লোকসভা ভোটের জন্যে নিচুতলার কর্মীদের প্রয়োজন কতখানি। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে, শুধুমাত্র প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর নামে ভোট বৈতরণী পার হওয়া কঠিন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাই সংগঠনের হালহকিকত জানতে নিজের কেন্দ্রের অঞ্চল ধরে ধরে বৈঠক করতে শুরু করেছেন ডালুবাবু। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে সাংগঠনিক রদবদলও তিনি করেছেন। সেইসঙ্গে লোকসভার জন্যে স্থানীয় নেতৃত্বকে মাঠে নামতেও নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা কার্যকরী করার মতো দক্ষ নেতা দলে ক’জন আছেন সেপ্রশ্নও উঠছে।