কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
অন্যদিকে, হাসপাতালে ভরতি থাকা মহম্মদ ওয়াসিম আনসারি রাজা, সেখ মিফতাউল হক, সোবরাতি মিঞা নিজে পরীক্ষা দিতে পারার মতো অবস্থায় না থাকায় দ্রুত তাদের জন্য লেখকের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে কিছুটা সময় লাগায় নির্দিষ্ট সময়ের পর ওই চার ছাত্রর পরীক্ষা শুরু হয়। সেজন্য তাদের ৪৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, এদিনই উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে মিলন ভাদুড়ি নামে এক পরীক্ষার্থী। স্কুল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই মিলনকে কানাইপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর হাসপাতালেই রিষড়ার মোরপুকুরের বাসিন্দা মিলন পরীক্ষা দেয়। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠের ছাত্র মিলনের জন্য আধঘন্টা বাড়তি সময় দেওয়া হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত চাঁপদানি আদাবি সোসাইটির ১২ জন ছাত্র একটি টাটা সুমো ভাড়া করে বাঁশবেড়িয়া হাইমাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। এদিন আরবি ভাষার পরীক্ষা ছিল। পোলবার সুগন্ধার কাছে দিল্লি রোডে একটি ট্রাক পাশ কাটাতে গিয়ে টাটা সুমোটির দিকে চেপে দেয়। ফলে টাটা সুমোর সামনের কিছুটা অংশ ট্রাকের নীচে চলে যায়। এরপর সকলের চিৎকারে ছুটে আসে এলাকাবাসী। রাস্তায় টহলরত পুলিস আহত সুমোর চালক ও চার ছাত্রকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজন টাটা সুমোর চালক হুসেন আনসারি ও নবাবকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরেই ফের নবাব অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঘন্টা দু'য়েক চিকিৎসাধীন থাকার পর সকলেই পরীক্ষা দিতে রাজি হয়। এরপর জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের নবনির্মিত ব্লাড ব্যাঙ্কে চার ছাত্রের পরীক্ষার ব্যাবস্থা করে। যেহেতু তারা এখনও সুস্থ নয়, তাই বাকি পরীক্ষাগুলিও তারা হাসপাতালেই দেবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনের পরীক্ষার পর নবাব জানায়, দুর্ঘটনার পর যেভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম তাতে পরীক্ষা দিতে পারব বলে আশা ছিল না। তবে লেখকের মাধ্যমে মোটামুটি পরীক্ষা দিয়েছি।
আদবি সোসাইটির পরিচালন সমিতির সম্পাদক মহম্মদ মুস্তাক আলম বলেন, আমাদের মাদ্রাসা থেকে এবার মোট ৩১৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। সবারই বাঁশবেড়িয়া হাইমাদ্রাসায় সিট পড়েছে। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মতো গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। এদিন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আমি ছুটে আসি। শেষ পর্যন্ত আহত চার ছাত্র হাসপাতালেই পরীক্ষা দেয়। প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নেওয়াতেই ওরা পরীক্ষা দিতে পেরেছে।