কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশজুড়ে বিরোধী ঐক্য গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। গত ১৯ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশে তার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে। সেই সভায় সর্বভারতীয় বিজেপি জোটের যে সম্ভাবনাময় ছবি ভেসে উঠেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের অস্বস্তি চরমে পৌঁছেছে। ওই সমাবেশের পর থেকেই মোদি-অমিত জুটি সহ গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতৃত্ব নিয়ম করে তাঁদের আক্রমণের নিশানা করেছেন মমতাকে। শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে হেনস্তা করতে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সারদা তদন্তের নামে কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চেষ্টার কসুর করেনি কেন্দ্রের শাসকদল। যার প্রতিবাদে ধর্মতলায় মমতাকে ধর্নায় বসতে হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই ধর্নাতে যেভাবে বিরোধী দলগুলি পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতেও জোট নেতৃত্বের আসনে মমতার প্রাসঙ্গিকতা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও তৃণমূল নেত্রীর ওই ধর্নার প্রতি সংহতি জানাতে বাধ্য হয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রায় দোরগোড়ায় এসে বিরোধী ঐক্যের ওই বার্তা আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিজেপি মহলে। তার মোকাবিলায় পাল্লা দিয়ে মোদি-অমিত জুটি সুর চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মমতা অবশ্য তা গায়ে মাখেননি। তাঁর দাবি, বিজেপির এনডিএ সরকারের অন্তিম সময় এসে গিয়েছে। এক্সপায়ারি ডেট পার করে ফেলেছে মোদি সরকার।
জাতীয় রাজনীতিতে যখন মোদি-মমতা সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ, ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে সংসদে দাঁড়িয়ে অধীর যেভাবে তৃণমূলকে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ইস্যুতে বিঁধেছেন, তা পরোক্ষে বিজেপির পালে হাওয়া দিয়েছে। অধীরের এই ভূমিকায় তাঁর সতীর্থরা অক্সিজেন পেয়েছেন বলেই দাবি রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশে। কিন্তু তাতে কংগ্রেস কি আদৌ বাংলায় পায়ের তলায় মাটি পাবে? বিষয়টি এআইসিসি’র বিচার্য— এই যুক্তি দেখিয়ে কেউই সরাসরি তার জবাব দিতে রাজি নন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, কংগ্রেস মতাদর্শগতভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু একইসঙ্গে রাজ্যে গণতন্ত্র ও শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে কংগ্রেস। তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ যাঁরা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির শিকার, তাঁদের জন্য বিচার চাওয়া স্বাভাবিক। তাঁর সংযোজন, কংগ্রেস সঙ্ঘ পরিবারের রাজনীতির বিরোধী। তৃণমূলের মতো নিছকই ব্যক্তি মোদি বিরোধী নয়। সর্বভারতীয় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলার কংগ্রেসের লড়াইটা যে কঠিন, তা মেনে নিয়েছেন বিধায়কদের একাংশ। অর্থাৎ অধীরের ভাষণে হিতে বিপরীত হবে না তো? সংসদে বিজেপিকে ‘সন্তুষ্ট’ করে রাজ্যে কতটা সুবিধা মিলবে, তা নিয়ে পুরোপুরি সংশয় কাটাতে পারছেন না বিধায়কদের একাংশ।