কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রচার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চার কেন্দ্রের প্রত্যেক বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে জওয়ানরা বুথে বুথে যেতে শুরু করবেন। মোট ৯২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে দিনহাটাতেই সর্বাধিক, ২৭ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। এছাড়া শান্তিপুরে ২২ কোম্পানি, খড়দহে ২০ কোম্পানি এবং গোসাবায় ২৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রত্যেক বুথেই থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সংশ্লিষ্ট চার জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বর্তমানে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভোটকর্মী ছাড়া বুথের মধ্যে কোনওভাবে যেন চারজনের বেশি না থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভোটারদের লাইনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভোটকর্মীদের হেল্থ কিট ঠিকঠাক সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয় এদিনের বৈঠকে। আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে এক সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা এবং ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভোটার তালিকা সংশোধনের ব্যাপারে এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন শান্তিপুরে সকাল থেকে প্রচারে নামে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী সকালে শহরের ১৪, ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে হেঁটে প্রচার চালান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী রত্না ঘোষ কর। সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাত এদিন নৃসিংহপুর, সূত্রাগড় এলাকায় কখনও হেঁটে, কখনও টোটোয় চেপে প্রচার করেন। কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল সকালে শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। বিকেলে তাঁর প্রচারে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস হরিপুর, নৃসিংহপুর সহ শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে প্রচার করেন। দিনহাটাতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ একাধিক কর্মিসভা করেন। বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল আমবাড়ি, খেরবাড়িহাট, সাহেবগঞ্জে প্রচার করেন। বুড়িরহাট, ভেটাগুড়ি, শালমারা, দিনহাটা শহরে দিনভর প্রচার করেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী আব্দুর রউফ। প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে দাবি করেন। গোসাবায় তৃণমূল, আরএসপি, বিজেপি প্রার্থীরা সকাল থেকেই জনসংযোগে নামেন। খড়দহে এদিন কোনও দলই বড় কোনও কর্মসূচি রাখেনি। বাড়ি বাড়ি প্রচার সেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে নিয়ে তৃণমূল এদিন প্রচার করে। বিকেলে মিছিল করে প্রচার শেষ করেন বাম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস। বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা এদিন বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন।