গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ভোটের মুখে আবাস নিয়ে জোর তর্জা চলছে তৃণমূল ও বিজেপির। তৃণমূলের দাবি, ২০২১ সালে তৃণমূল ভোটে জেতার পর থেকে আবাস যোজনায় এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রের বিজেপির দাবি, আবাস যোজনায় লাগামছাড়া দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই বাড়ি দেওয়া হয়েছে। যাঁদের দোতলা বাড়ি ছিল, তাঁরাও আবাসের বাড়ি পেয়েছেন। তাই বরাদ্দ বন্ধ করা হয়েছে। আবাস নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির এই দড়ি টানাটানি, তর্জায় নাজেহাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ আবাস উপভোক্তা। তাঁদের একটাই দাবি, ‘এত রাজনীতির কচকচানি বুঝি না। শুধু বুঝি মাথা গোঁজার জন্য একটা ঘর দরকার। এবার অন্তত সেই ব্যবস্থা করুক সরকার।
আবাস বঞ্চিতরাই মনে করাচ্ছেন, ২০২২ সালের শেষের দিকে একবার বাড়ি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। প্রশাসন, আশা কর্মী থেকে পুলিস পর্যন্ত পরিদর্শনে এসেছিল। কিন্তু তারপর আবার সব চুপচাপ। প্রশাসন জানিয়েছে, ২০১৭ সালের তৈরি আবাস প্লাস তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ উপভোক্তার নাম ছিল। দীর্ঘ যাচাইয়ের পর এক লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি দেওয়া হবে বলে স্থির হয়। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যেই নতুন বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাসিন্দারাও আশার আলো দেখছিলেন। গড়বেতার তপন মণ্ডলের আক্ষেপ, যেভাবে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল, টিভিতে প্রচার হচ্ছিল, ভেবেছিলাম এবার বাড়ি তৈরি হয়ে যাবেই। কিন্তু হল কোথায়? কেশপুরের বাসিন্দা মমতাজ বিবি বলেন, বাড়ি বলতে কিছুই নেই। যেটুকু আছে, তাতে রাতটুকু কোনওরকমে কাটানো যায়। এভাবে কি থাকা যায়? বঞ্চিতদের অভিযোগ, ভোটের সময় ছাড়া গরিবদের কথা কি কেউ ভাববে না?এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, গরিবের কথা ভাবেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে না থেকে তিনি এবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার। আমরা গ্যারান্টি কার্ডও দিচ্ছি। ভোট মিটলেই বাড়ি তৈরির তোড়জোড় শুরু করবে প্রশাসন। যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, তৃণমূলের জন্যই বাংলার মানুষের এই দুর্দশা। আবাস যোজনার নাম করে শুধু টাকা কামিয়ে গিয়েছেন নেতারা। গরিবদের বঞ্চিত রেখে নিজেদের দলের লোকেদের বাড়ি দিয়েছে। সবাই সবকিছু জানে। ভোটেই জবাব পাবে তৃণমূল।
পুরপ্রধান সৌমেন খানের নেতৃত্বে মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার ফ্লেক্স টাঙানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র