গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সাধুদের গালাগালি করার মাধ্যমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ওঁর পায়ের তলা থেকে সরে যাওয়া মাটি পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন বলেও দাবি করেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের ভোটটাকে দখলে রাখতে চাইছেন। ভাবছেন, সাধুসন্তের গালাগালি দিলে সংখ্যালঘু মানুষ খুশি হবে। তৃণমূলকে ভোট দেবে। এই ধরনের নিকৃষ্ট রাজনীতি করতে উনি অভ্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেউ মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছে না। ভোটের সময় মানুষের ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা হোক। ভোটের সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে দিয়ে এটা কী রাজনীতি হচ্ছে? বাংলায় এই রাজনীতি দেখে অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আমরা। বাংলার মানুষ এই ধরনের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না।
তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন বিজেপিকেও এক হাত নেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। যেদিন থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রবেশ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে এদিন তোপ দাগেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, বিজেপির জন্য বাংলার রাজনীতিতে ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িকতা মাথা ছাড়া দিচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী উভয়ই এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দুটো মেরু হতে চাইছেন। এক পক্ষ সাধুদের হয়ে কথা বলবে ও অপরপক্ষ সাধুর বিরুদ্ধে কথা বলবে। সাধুর কথা বলে হিন্দু ভোট নেবে, সাধুর বিরোধিতা করে মুসলিম ভোট নেবে। একটা অদ্ভুত রাজনীতির খেলা চলছে।
এদিন জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা করেছেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, খুবই অন্যায় এটা। যারা হামলা করেছে, তারা এক ধরনের অপরাধ করেছে। জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে যারা হামলা করেছে তাদের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট, জমি দখল করা। বাংলায় যারা জমি মাফিয়া আছে, তাদের এটা কাজ। বাংলার জমি মাফিয়া যারা, তারা তৃণমূলের লোক। এটা তৃণমূলের মদতে হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করি।
বাম ও কংগ্রেস এই বাংলায় তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। মোদি ও দিদি বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ এই উত্থান দেখে হতাশ বলে দাবি করেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, কংগ্রেস ও বামের উদয় হচ্ছে দেখে মোদি এবং দিদি উভয়েই হতাশ। নতুন করে কংগ্রেস ও বাম যৌথভাবে বাংলার রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিচ্ছে। তাতে উভয় দল আতঙ্কিত। কেউ বলছে হিন্দুকে রক্ষা করব, কেউ বলছে সন্তদের বিরোধিতা করব। হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য না মোদির দরকার, না দিদির দরকার। না কোনও মহারাজের দরকার হয়। কোনও পীর ফকিরের দরকার নেই। বাংলার সংস্কৃতি হিন্দু মুসলিম উভয়কেই সম্প্রীতিতে আবদ্ধ রাখবে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।