অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম একথা জানিয়ে বলেন, গোটা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন, ওষুধ, ডাক্তার সব কিছুই অপ্রতুল হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় এই মারণ রোগ থেকে সুস্থ মানুষকে দূরে রাখা এখন বেশি জরুরি। সেজন্য দরকার সচেতনতার প্রচার। মে দিবসকে আমরা এবার সেই কাজেই উৎসর্গ করব। মোর্চার নেতা-কর্মীরা ওইদিন সচেতনতা প্রচারের সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদি বিলি করবেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। উল্লেখ্য, লকডাউনকালের মতো সিপিএম গোটা রাজ্যে তাদের ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীদের দিয়ে ইতিমধ্যে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করেছে। মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ইচ্ছুক তরুণদের এই কাজের জন্য ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ টিমে নাম লেখানোর বন্দোবস্ত করেছে তারা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে। সেলিম এদিন কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশ ও রাজ্যের দুই সরকারকে আরও একবার তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে যথেষ্ট সময় পেলেও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি না করে চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে দুই সরকারই। টিকার উৎপাদন, দাম, চাহিদা ও সুষ্ঠু বণ্টন নিয়ে কোনও নীতি গ্রহণ করেনি মোদি সরকার। অন্যদিকে, কোভিড ওষুধের কালোবাজারি রোখার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে রয়েছে। সব মিলিয়ে মুনাফাখোরদের পোয়াবারো হচ্ছে। তার জেরে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।