অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ বলেন, বেলুড় মঠের সঙ্গে আলোচনা করে ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার থেকে মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এনিয়ে মন্দিরের মূল গেটে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে লকডাউনের সময় অন্যান্য মন্দিরের সঙ্গে জয়রামবাটি মাতৃমন্দির বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভক্তদের আসা বন্ধ হওয়ায় জয়রামবাটির ব্যবসায়ী মহলে হতাশা তৈরি হয়। পরবর্তীকালে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় ভক্তদের অনুরোধে মন্দির খোলা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির চত্বরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়। তবে, মূল মন্দিরে সারদা মায়ের সামনে বসে আরাধনার সুযোগ ছিল না। বাইরে থেকে মাকে দর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। ভক্তদের বসিয়ে প্রসাদ বিতরণও বন্ধ ছিল। তবে মন্দিরের গেটে শুকনো প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা ছিল। এতসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত কয়েকমাসে ভক্তদের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছিল। দোকান বাজার আগের মতোই খোলা হয়। এককথায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ইতিমধ্যে বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মন্দির বন্ধ করা হয়েছে। একে একে তারকেশ্বরের মন্দির, বেলুড় মঠও বন্ধ হয়েছে। কামারপুকুরে রামকৃষ্ণদেবের মঠ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এবার জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরও সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। এনিয়ে মন্দিরের গেটে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কপালে ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলেন, মাতৃমন্দিরকে কেন্দ্র করে জয়রামবাটির অর্থনীতি নির্ভরশীল। গতবছর লকডাউনের সময় মন্দির বন্ধ থাকায় আমরা চরম অসুবিধায় পড়েছিলাম। ফের বন্ধ হলে আমরা আবারও সমস্যায় পড়ব।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, জয়রামবাটিতে মাতৃ দর্শনের জন্য ভক্তদের ভিড় সারাবছরই থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত আসেন।