উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নবাবহাট এলাকার হোটেলগুলিতে আসেন বিভিন্ন জেলার যুবকরা। তাঁদের বিনোদনের ব্যবস্থা করার জন্য ছড়িয়ে রয়েছে দালালরা। ফোন করলেই পছন্দমতো পার্টির বন্দোবস্ত করে দেয়। এক দালাল বলেন, টাকা খরচ করলেই সব ব্যবস্থা করা যায়। ধরপাকড়ের কোনও ভয় নেই। হোটেলে কেউ ‘রেড’ করতে আসবে না। রুমে ঢুকে যাওয়ার পর হোটেলের মূল গেটে বাইরে থেকে তালা দেওয়া থাকে। বাইরে থেকে কেউ এলে দেখতে পাবে হোটেল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ভিতরে যা হওয়ার হবে। একবার রাতে রুম নিলে পকেটে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা আনতে হবে।
নবাবহাট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, হোটেল মালিকদের একাংশ এমনভাবে ব্যবসা করে যেন মনে হয় তাদের লাইসেন্স রয়েছে। কোনও কিছুর পরোয়া করে না। দিনরাত সবসময় ছেলে-মেয়েরা ঢুকছে। নবাবহাটের পাশাপাশি তিনকোনিয়া এবং বাদামতলার কয়েকটি হোটেলেও এই ছবি দেখা যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে এক যুবক ও যুবতী বাদামতলার হোটেলে ঢোকে। পরে যুবতীকে খুন করে ওই যুবক চলে যায়। ঘটনার পর কয়েক দিন কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত অধরা রয়েছে।
বিজেপি নেতা সুধীর রজ্ঞন সাউ বলেন, হোটেলগুলিতে অসামাজিক কাজ বন্ধ করার জন্য আমরা পুলিসকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। তাতেও কাজ হয়নি। অসামাজিক কাজ চলার পিছনে প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে। তাছাড়া এধরনের কারবার চলতে পারে না। শাসক দলের নেতারা কোনওদিনই এসব নিয়ে মুখ খোলেনি।
তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। সমাজের ক্ষতি হয় এমন কাজ কেউ করতে পারবে না। পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। অবৈধ কোনও কিছু হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আগে লুকিয়ে কারবার চলত। এখন সবকিছুই প্রকাশ্যে হচ্ছে। হোটেলগুলির ছবি দেখলে যে কারও চোখের সামনে ফুটে উঠবে উড়তা পাঞ্জাব সিনেমার সেইসব দৃশ্য। অনেকে বলছেন, পুলিস পদক্ষেপ না নিলে উড়তা পাঞ্জাবকে পিছনে ফেলে নতুন চিত্রনাট্য লেখার উপকরণ এই হোটেলগুলিতে পাওয়া যাবে।