উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
এদিন গোলাপির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন রানিনগর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল সৌমিক হোসেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই এই দলত্যাগ বলে জানিয়েছেন গোলাপি। প্রসঙ্গত, তেইশের পঞ্চায়েতে কালীনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। ভোটের ফলাফলে মোট ১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস সাতটি, সিপিএম দু’টি, তৃণমূল পাঁচটি, বিজেপি দু’টি আসনে জয়লাভ করেছিল এবং একটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি সমর্থিত নির্দল। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির দুই জয়ী সদস্য ও বিজেপি সমর্থিত ওই নির্দল সদস্য বোর্ডে তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছিল। তবে বাম-কংগ্রেস সম্মিলিতভাবে ন’জন জয়ী সদস্যের সমর্থন মেলায় বোর্ড দখল করেছিল। বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন গোলাপি এবং উপ প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিএমের সুফিয়া সুলতানা। তার মধ্যেই বুধবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রধান গোলাপি। তিনি বলেন, কংগ্রেসে থেকে পঞ্চায়েতের বোর্ড চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
রানিনগর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হাফিজ মেহবুব মুর্শিদ বলেন, কংগ্রেসে থেকে বোর্ড চালাতে গিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। তাই উনি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হয়ে পঞ্চায়েতের সঠিক উন্নয়ন করতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। যদিও রানিনগর-২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মমতাজ বেগম হীরা বলেন, উনি কয়েক দফায় পঞ্চায়েতের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেইসব টাকার কোনও হিসেব তিনি মেম্বারদের দিতে পারছেন না। এখন বাঁচার জন্য প্রধান ও প্রধানের স্বামী দু’জনেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
হাফিজ মেহবুব মুর্শিদ বলেন, যেহেতু প্রধান নিজেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন, তাই ওই বোর্ড আর বাম-কংগ্রেস জোটের হাতে থাকল না। তার দখল নিল তৃণমূল। এখন তৃণমূলই এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ।